October 13, 2024, 12:48 pm
ষ্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় মিলে, পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মিনিকেট চাল (জিরা) মিলে ৬২ টাকা, পাইকারিতে ৬৩ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হবে। আটাশ (মাঝারি) মিলে ৫২, পাইকারি ৫৩ ও খুচরা ৫৪-৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হবে। স্বর্ণা-৫ মিলে ৪৬, পাইকারি ৪৭ ও খুচরা ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা কেজিতে বিক্রি হবে। চিনিগুঁড়া (খোলা) ভোক্তা পর্যায়ে ১১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ধান ও চালের কোনো সংকট সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুজব রটিয়ে সরকারকে কোনোভাবেই বিব্রত করা যাবে না। আর যারা এই সিদ্ধান্ত মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি বগুড়ার সভাপতি এটিএম আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘চালের দাম মিল, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে ধানের দাম বাড়লে তখন এই দামে চাল বিক্রি করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মেহবাউল করীম, পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোতাহার হোসেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীনসহ চালকল মালিক, আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।