October 11, 2024, 5:19 am
নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি: বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে শুরু হয়েছে পাটালি গুড় তৈরির উৎসব। এক সময় দিগন্ত জুড়ে মাঠ কিংবা সড়কের দুই পাশে সারি সারি অসংখ্য খেজুর গাছ চোখে পড়ত। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে সেসব খেজুর গাছ।
কিন্তু খেজুর গুড়ের চাহিদা কমেনি এতটুকু। শীত মৌসুমের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুর গাছের রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা।
শীতের ভরা মৌসুমে রস সংগ্রহের জন্য শীতের আগমনের শুরু থেকেই রস সংগ্রহের প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন গাছিরা। এর ফলে অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের খেজুর গাছের কদর বেড়েছে। প্রতি বছরের ৩ মাস খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গাছিরা, যা দিয়ে সুস্বাদু গুড় তৈরি করা হয়।
এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাইলে আমাদের সবার উচিত তালগাছের মতো বেশি করে খেজুর গাছ লাগানো এবং তা যত্ন সহকারে বড় করা। যদি আমরা আমাদের এই হাজার বছরের ঐতিহ্যকে আগামী প্রজন্মের জন্য ধরে রাখতে চাই তাহলে এই কাজে আমাদের সবার এগিয়ে আসা উচিত বলে জানান নন্দীগ্রাম উপজেলার
গাছি জিন্নাত আলী। তিনি আরও জানান, পাটালি গুড় প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়।
আমি এবছর ৮০টি খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করছি। সপ্তাহের প্রতিদিনই পালাক্রমে বিভিন্ন গাছ থেকে রস সংগ্রহ করি প্রতিদিন ৩শ কেজি করে রস পাই। ৩শ কেজি রস থেকে ১২ কেজি করে গুড় উৎপাদন করা যায়। এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, আমরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন সড়কের দুই ধার দিয়ে খেজুরের গাছ লাগানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। খেজুর গাছ ফসলের কোনো ক্ষতি করে না।