October 6, 2024, 2:01 am
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে মাঘের শীতের দাপট ক্রমেই বেড়েই চলেছে। হাড় কাঁপানো শীতে নাজেহাল হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা এ পর্যন্ত এ বছরে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি বলেন, এখন মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ জেলার ওপর দিয়ে বইছে। এটি আরও কয়েকদিন এরকম থাকতে পারে।
এদিকে, জেলায় এখন মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে এবং এ তাপমাত্রায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এনিয়ে জেলার এ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪দিন ধরে বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
এদিকে, প্রচন্ড শীতে উত্তরের এ জনপদে এখন জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় কাবু করে দিয়েছে মানুষের চলাচল ও কর্মযজ্ঞ। মোটা কাপড় পরিধান করেও কনকনে ঠান্ডা লাগাম দেয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত এবং বিকেল থেকে চলতে থাকে ঠান্ডার দাপট। সাথে যুক্ত হয়েছে হিমেল হাওয়া। এ পর্যায়ে বাইরে চলাচল করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না। শীতার্ত মানুষ শীত নিবারণে খড়কুটো জ্বালিয়ে তাপ নেয়ার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। কাজে যেতে না পেরে তাদের এখন সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দিকাশিসহ শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী। অন্যদিকে, শিশু ওয়ার্ডে ৪৪ টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী।
অন্যদিকে, অতিরিক্ত কুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও শৈত্যপ্রবাহে বোরো আবাদ পিছিয়ে যাচ্ছে বলে কৃষকরা জানান। ঠান্ডার কারণে জমিতে সেচ কিংবা চাষ দেয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বীজতলার কিছু কিছু হলুদাভ বর্ণ হয়ে উঠছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ কৃষকদের বোরো বীজতলায় স্প্রে করে বীজ রক্ষার পরামর্শ প্রদান করছে বলে উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান।