October 11, 2024, 5:43 am
যমুনা নিউজ বিডি: শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য কমে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের এ তীব্রতা। হিমেল হাওয়ার সঙ্গে কুয়াশার দাপট। তীব্র শীতে জবুথবু সাধারণ মানুষ।
বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষকে কাজের জন্য ঘর থেকে বের হতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালেও রাজধানী ছিল কুয়াশায় আচ্ছন্ন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাটতে শুরু করবে কুয়াশার আবরণ, এমনটিই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, শনিবার শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে আসতে পারে। তবে সকালের ঘন কুয়াশা খুব একটা কমবে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা কমবে কুয়াশা, আগামী তিন দিন কুয়াশা এমন থাকতে পারে। এরপর আবার তাপমাত্রা কমে যেতে পারে।
তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিন পর দেশের কোনও কোনও স্থানে বৃষ্টির শঙ্কা আছে। এতে শীত আবার বেড়ে যেতে পারে।
এ দিকে রাজধানী ঢাকায় শীতের তীব্রতা এতদিন না থাকলেও হুট করে তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমে গেছে। তাতে বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা। সারা দেশেই রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলিতে এবং চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৬, যা গতকাল ছিল ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকায় আজ তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৯, যা গতকাল ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি। এদিকে ১২ ডিগ্রি তাপমাত্রার নিচে থাকা অঞ্চলগুলোর মধ্যে আছে—পাবনার ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৮, দিনাজপুরে ১০, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৫, রাজশাহীর বদলগাছিতে ১০ দশমিক ৭, যশোর, সীতাকুণ্ড ও মাদারীপুরে ১১, খেপুপাড়া, কুমারখালি ও সৈয়দপুরে ১১ দশমিক ৩, বগুড়া ১১ দশমিক ৪, বরিশালে ১১ দশমিক ৫, টাঙ্গাইলে ১১ দশমিক ৮, তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৯, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুরে ১১ দশমিক ২, কুমিল্লা ও গোপালগঞ্জে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তরের হাওয়া বইতে শুরু করে। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সূর্যের তাপ ও আলো কিছুটা থাকলে এরপর আবার বাতাসের তীব্রতা বাড়তে থাকে। ফলে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যাহত হয়। লোকজনও প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না বললেই চলে।