December 7, 2023, 12:18 am
যমুনা নিউজ বিডিঃ ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলাসহ রংপুরের কয়েকটি উপজেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টার দিকে রংপুরের কাউনিয়া পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে। আর দেশের বৃহত্তম সেচপ্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচে।
স্থানীয়রা জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি নেমে যেতে না-যেতেই ফের বন্যা আতঙ্কে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ।
তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব অঞ্চলে বিগত বন্যায় শুরু হওয়া ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে দাবি করেছে জেলা প্রশাসন।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, তিস্তার পানি প্রবাহ কাউনিয়াতে বেশি থাকলেও ডালিয়া পয়েন্টে কম রয়েছে। মূলত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে তিস্তা নদীতে পানি করেছে। বৃষ্টিপাত কমে গেলে তিস্তা পানি কমছে শুরু করবে। এ নিয়ে চলাঞ্চলের মানুষের দুশ্চিন্তার কারণ নেই।