October 13, 2024, 1:50 am
যমুনা নিউজ বিডিঃ মানবাধিকার সংস্থা অধিকার-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানের ২ বছরের কারাদণ্ডের রায়ে উদ্বেগ ও তাদের মুক্তি দাবি করেছেন দেশের ১০৫ লেখক, শিল্পী, সাংবাদিক, শিক্ষক ও মানবাধিকারকর্মী। একইসঙ্গে দেশের মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষা, অবারিত মতপ্রকাশের সুযোগসহ সব গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বহু সংগঠন ও নাগরিকের উদাত্ত আহ্বান উপেক্ষা করে মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের ২ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মানবাধিকার সংগঠনের শীর্ষ ২ ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়ার নজিরবিহীন এ ঘটনায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় আমরাও বিক্ষুব্ধ ও বেদনাহত।
এ ঘটনা দেশে মানবাধিকার চর্চার ক্ষেত্রে তীব্র বাধা তৈরি করবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অধিকার’ দীর্ঘদিন ধরে গুম, বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তথ্য প্রকাশ করে আসছে। সরকার অধিকারের কণ্ঠরোধের সব পদক্ষেপের পর সংগঠনটির শীর্ষ দুই ব্যক্তির শাস্তি ও কারাবাস তাই অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ।
এতে আরও বলা হয়, আমরা মনে করি আদিল ও এলানের মামলাসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ও বাতিলকৃত ৫৭ ধারায় চলমান মামলাগুলো অব্যাহত রাখা কোনোভাবে উচিত নয়। একইসঙ্গে বাতিলকৃত নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দেওয়া উচিত এবং এ আইনে দায়েরকৃত মামলাগুলো বাতিল করা উচিত। পাশাপাশি, আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আদলে নতুনভাবে গৃহীত সাইবার নিরাপত্তা আইনে সংযুক্ত নিবর্তনমূলক ধারাগুলো বাতিলের দাবি জানাই।
অবিলম্বে আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের মুক্তি দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষা, অবারিত মতপ্রকাশের সুযোগসহ সব গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখার দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতিদাতারা হলেন শামসুজ্জামান হীরা, কথাসাহিত্যিক ও মুক্তিযোদ্ধা; কামাল আহমেদ, সাংবাদিক; রাহমান চৌধুরী, নাট্যকার ও শিক্ষাবিদ; রাণী য়েন য়েন, মানবাধিকারকর্মী; ড. সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব; ড. হেলাল মহিউদ্দীন, শিক্ষক ও লেখক; আর রাজী, অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; কাদের গনি চৌধুরী, সাংবাদিক; দিলারা চৌধুরী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক; সৈয়দ আবদাল আহমদ, লেখক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব; আব্দুল লতিফ মাসুম, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সাবেক উপাচার্য, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; ইলিয়াস খান, সাংবাদিক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেসক্লাব; মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; মুহাম্মদ কাইউম, চলচ্চিত্র নির্মাতা; মোহাম্মদ আজম, লেখক ও অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সায়দিয়া গুলরুখ, সাংবাদিক ও গবেষক; জি এইচ হাবীব, অনুবাদক ও সহকারী অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; ওমর তারেক চৌধুরী, লেখক, অনুবাদক; মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, লেখক ও গবেষক; ড. মঞ্জুরে খোদা, লেখক, গবেষক; ড. মোশরেকা অদিতি হক, শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; জাহেদ উর রহমান, শিক্ষক, কলামিস্ট ও অ্যাকটিভিস্ট; মাহা মির্জা, লেখক ও গবেষক; রেজাউর রহমান লেনিন, গবেষক ও অধিকার কর্মী; সাকিব আলি, সাবেক কূটনীতিক; আবুল কালাম আল আজাদ, সমন্বয়ক, ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলন; সায়ন্থ সাখাওয়াৎ, লেখক ও চিকিৎসক; রাখাল রাহা, লেখক; সাখাওয়াত টিপু, কবি; ফাহমিদুল হক, ভিজিটিং অধ্যাপক, বার্ড কলেজ, যুক্তরাষ্ট্র; ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, সঙ্গীতশিল্পী; সুস্মিতা চক্রবর্তী, অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; লতিফুল ইসলাম শিবলী, গীতিকার; জিয়া হাশান, কথাসাহিত্যিক; সায়েমা খাতুন, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী; খসরু চৌধুরী, লেখক, বাঘ বিশেষজ্ঞ; রায়হান রাইন, লেখক-গবেষক ও শিক্ষক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; আব্দুল হালিম চঞ্চল, চিত্রশিল্পী ও শিক্ষক; মুস্তাফা জামান, চিত্র সমালোচক ও শিল্পী; হামীম কামরুল হক, কথাসাহিত্যিক; মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, লেখক ও প্রকাশক; সাঈদ বারী, প্রকাশক; চঞ্চল আশরাফ, কবি; আহমেদ স্বপন মাহমুদ, কবি ও প্রাবন্ধিক; মাহবুব হাসান, কবি; ফিরোজ আহমেদ, প্রবন্ধকার; লুনা রুশদী, লেখক ও অনুবাদক; ফাহাম আব্দুস সালাম, লেখক; শওকত হোসেন, কবি ও সম্পাদক, হালখাতা।
এতে আরও সই করেছেন মাহবুব মোর্শেদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক; বাকী বিল্লাহ, লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী; মারুফ মল্লিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক; জিয়া হাসান, লেখক; ফেরদৌস আরা রুমী, কবি ও উন্নয়নকর্মী; অমল আকাশ, শিল্পী ও সংগঠক; বীথি ঘোষ, সাংস্কৃতিক কর্মী; গাজী তানজিয়া, সাহিত্যিক; দিলশানা পারুল, নারী অধিকার কর্মী; ওলিউর সান, লেখক ও সংগঠক; মাহাবুব রাহমান, কবি ও প্রকাশক; ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক লেখক; সালেহ হাসান নকিব, অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; শরৎ চৌধুরী, শিক্ষক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়; নুরুল আমিন বেপারী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ড. কামরুল আহসান, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ড. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. মোস্তফা নাজমুল মানছুর, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; কামরুন্নেসা খন্দকার, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; মো. জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; নসরুল কাদির, অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; মাইনুল হাসান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক, ডিআরইউ; জামাল আবেদীন ভাস্কর, লেখক ও ব্লগার; ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ, অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; সাঈদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক, ডিইউজে; ড. হাসান আশরাফ, সহযোগী অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ড. জাহেদ আরমান, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, ফ্রামিংহাম স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; এনায়েত রসুল, শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক; আসিফ সিবগাত ভূঞা, লেখক; দিলরুবা শরমিন, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী; সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া, বিশেষজ্ঞ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, যুক্তরাষ্ট্র; মুসা আল হাফিজ, কবি ও গবেষক; কদরুদ্দীন শিশির, ফ্যাক্টচেক এডিটর, এএফপি; মারজিয়া প্রভা, লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট; সাইদা আখতার, সাধারণ সম্পাদক, নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা; রেজোয়ান সিদ্দিকী, সাংবাদিক ও লেখক; শামীমা জামান, কথাসাহিত্যিক; হাসান আল মামুন, সাবেক আহ্বায়ক, কোটা সংস্কার আন্দোলন; সালাহ উদ্দিন শুভ্র, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক; মাসুদ কবির, চিত্রশিল্পী; বায়েজিদ বোস্তামী, কবি ও গদ্যকার; পারভেজ আলম, লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট; রোজীনা বেগম, গবেষক ও মানবাধিকার কৰ্মী; নুসরাত জাহান, সাংস্কৃতিক কর্মী ও অ্যাকটিভিস্ট; রেবেকা নীলা, সাংস্কৃতিক কর্মী; এহসান মাহমুদ, লেখক ও সাংবাদিক; দীপক রায়, প্রকাশক ও রাজনৈতিক কর্মী; সোহেল রানা, লেখক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক; অর্বাক আদিত্য, কবি; নাদিম হাসান, নাট্যকর্মী ও অ্যাকটিভিস্ট; আরিফুল ইসলাম আদীব, অ্যাকটিভিস্ট ও সাংবাদিক ও ড. মোহাম্মাদ আল আমিন, অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।