October 4, 2024, 5:49 am
যমুনা নিউজ বিডিঃ ভারতের নয়াদিল্লিতে দুই দিনব্যাপী ‘জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন’ আজ শেষ হয়েছে। সমাবেশের সমাপনী বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর তিনি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের হাতে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
দিল্লির ভারত মণ্ডপে সমাপনী অনুষ্ঠানে জি-২০ দেশগুলোর প্রধানরা একটি প্রতীকী বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সম্মেলনের শেষে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভার হাতে জি-২০-এর সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করেন মোদি। এ সময় প্রতীক হিসেবে কাঠের হাতুড়ি তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে বিশ্বনেতারা মতৈক্যের ভিত্তিতে জি-২০ শীর্ষ বৈঠকের ঘোষণাপত্র জারি করেছেন। বিভিন্ন দেশের চেষ্টায় এটা সফল হয়েছে।
জি-২০ বৈঠকে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা ছিল, এখানে কোনো ঘোষণাপত্র জারি করা যাবে কিনা? কারণটা হলো, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মতবিরোধ। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করার পক্ষে ছিল। কিন্তু রাশিয়া, চীন তা মানতে রাজি ছিল না। ভারতও এই যুদ্ধে কারো পক্ষই নেয়নি। ফলে তারা এমন একটা অবস্থান নিতে চাইছিল, যাতে সর্বসম্মতভাবে বিষয়টি নিয়ে এগোনো যায়। আর এটাই ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও কূনীতিকদের পরীক্ষা ও চ্যালেঞ্জ। শেষ পর্যন্ত সেই পরীক্ষায় তারা সফল হয়েছেন। সবার সম্মতিতে ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দিল্লি ঘোষণাপত্রে মোট সাতটি পয়েন্ট আছে। দিল্লির ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বে যুদ্ধ ও অন্য সংঘাতের বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। মানুষের কষ্ট বাড়ছে বলে আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আমরা বালিতে যে আলোচনা করেছিলাম, তা মনে করিয়ে দিয়ে আবার বলতে চাই, আমরা আমাদের জাতীয় অবস্থানের কথা বলেছি এবং জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ও নিরাপত্তা পরিষদে যে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল তার কথা বলেছি। সেখানে বলা হয়েছে, কোনো দেশ যেন জোর করে অন্য দেশের জমি অধিকারের এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা না করে। পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি একেবারেই মানা যায় না।’
ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জি-২০ হলো আন্তর্জাতিক আর্থিক সহযোগিতার মঞ্চ। এটা কোনো ভূ-রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের মঞ্চ নয়। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, এই বিষয়গুলোর একটা বড় প্রভাব বিশ্বের অর্থনীতির ওপর পড়ে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের জন্য বৃহত্তর বৈশ্বিক সমর্থনের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন যে, এই সংঘাতের কারণে উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।