September 28, 2023, 1:28 am
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ শুধু দেশে নয়, বিশ্বের অনেকে দেশে বগুড়ার দই পছন্দনীয় সুস্বাদু মিষ্টি খাবার। বগুড়া জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির আবেদনের ছয় বছরের মাথায় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি পেল বগুড়ার দই।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) গত ২৬ জুনের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এ খবরে শুধু হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি নয়; সারা জেলার মানুষের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে।
বগুড়া জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আকবরিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান আলী আলাল জানান, বগুড়ার দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে তারা গত ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর ডিপিডিটিতে আবেদন করেন। আবেদনের ছয় বছর পর স্বীকৃতি পাওয়া আমরা সন্তুষ্ট। এজন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীলদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
রেস্তোরা মালিকরা আশা করেন, শিগগিরই ট্যারিফ লাইনেও বগুড়ার দইয়ের নাম অন্তর্ভুক্ত হবে। ওই আবেদনে বগুড়া জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা উল্লেখ করেছিলেন, প্রায় ১৫০ বছর আগে বগুড়ার শেরপুরে প্রয়াত নীলকণ্ঠ ঘোষ প্রথম দই তৈরি করেন। পরবর্তীতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঁড়ে করে বাড়ি বাড়ি দই বিক্রি শুরু হয়। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলীর বাবা বগুড়ার নওয়াব আলতাফ আলী চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় শেরপুরের ঘোষপাড়ার গৌর গোপাল পাল বগুড়া শহরে দই তৈরির কাজ শুরু করেন।
বর্তমানে শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে তার উত্তরসূরি দুই ছেলে বিমল চন্দ্র পাল ও স্বপন চন্দ্র পাল ‘শ্রী গৌর গোপাল দধি ও মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’ নামে প্রাচীন দোকানটি চালু রেখেছেন। বগুড়ার দইয়ের স্বাদ নিয়ে প্রশংসা করেছিলেন, মহারানী ভিক্টোরিয়া ও রানী এলিজাবেথ। বগুড়ার দইয়ের সুনাম দেশজুড়ে। বিদেশেও ব্যক্তিগতভাবে অনেকে নিয়ে যান।
ডিপিডিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমান গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির আবেদনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই শেষে ২৬ জুন বগুড়ার দই ছাড়াও তিনটি পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গেজেট প্রকাশ করা হলেও এ ব্যাপারে কেউ কোনো আপত্তি তোলেনি। তাই এ পণ্যের স্বীকৃতি মিলেছে।
তিনি আরও বলেন, আরও কয়েকটি পণ্য প্রক্রিয়াধীন। শিগগিরই সেগুলোরও স্বীকৃতি দেওয়া হবে।