April 20, 2024, 12:17 am
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা গোহাইল ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ছয়টি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠে একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তাদের ‘লুট করা’ সেই গাছগুলো উদ্ধার হয়েছে।
বুধবার বিকেলে উপজেলার জামাদারপুকুরে স্থানীয় যুবলীগ নেতা শ্যামলের ‘ছ’ মিল থেকে সেগুলো উদ্ধার করা হয়। এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর দৈনিক জয়যুগান্তরে ‘বগুড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রির অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ‘লুট’ হওয়া সেই গাছগুলো উদ্ধার করলো উপজেলা প্রশাসন।
অভিযুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির আহ্বায়ক কমিটির সভাপতির নাম আলী ইমাম ইনোকি। তিনি শাজাহানপুর উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি। আর অধ্যক্ষের নাম মোতাহার হোসেন মুকুল।
মোতাহার হোসেন মুকুল বলেন, ইউএনও’র নির্দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গাছগুলো ‘ছ’ মিল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। সেগুলো এখন গোহাইল ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের হেফাজতে রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদা খানম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে, গাছ বিক্রির ঘটনায় গত রোববার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির অভিভাবক সদস্য দাবি করা আব্দুল লতিফ।
অভিযোগে বলা হয়, ইনোকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি। এরপরেও অধ্যক্ষ মোতাহারের সঙ্গে যোগসাজস করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গাছ কেটে বিক্রি করেন। গত শুক্রবার ছুটির দিনে ইনোকি ও মোতাহার বিদ্যালয়ে ছয়টি গাছ চুরি করে কেটে বিক্রি করেন। গাছ বিক্রির বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কাউকে কিছুই জানানো হয়নি।
অভিযোগকারী আব্দুল লতিফ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছয়টি বেলজিয়াম গাছ প্রায় এক লাখ টাকায় বিক্রি করেন যুবলীগ নেতা ইনোকি ও অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন মুকুল।