April 16, 2024, 1:59 pm

আতঙ্কে ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা তুলেছেন গ্রাহকরা : মুখ্য সচিব

যমুনা নিউজ বিডিঃ একটি মহল সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস বলেছেন, ব্যাংকে টাকা নেই, এমন কথা ছড়ানো হয়েছে। তাই সাধারণ গ্রাহক আতঙ্কে ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক কাউকে বাধা দেয়নি। তবে এখন সেই গ্রাহকেরা আবার ব্যাংকে টাকা রাখতে শুরু করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) তিন দিনব্যাপী বার্ষিক উন্নয়ন সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এখন অর্থনীতি নিয়ে নানা ‘শোনা কথা’ বলা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকগুলো আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। আমরা শিক্ষিত মানুষ যদি কান পেতে রই, কান নিয়ে যাওয়ার জন্য বলি- দুঃখটা এখানেই। ব্যাংকে টাকা নেই বলা হয়েছিল। এটি বলার পর সত্যিকার অর্থে একটি ইমপ্যাক্ট হয়েছিল। ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা উইথড্র করা নেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কিন্তু কাউকে বাধা দেয়নি। এরপর এখন সবাই যখন ভুল বুঝতে পেরেছে টাকা ফেরত আসতে শুরু করেছে।

সবাইকে তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। আতঙ্কের পেছনে ছোটার বদলে প্রমাণ খোঁজার কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, এখন একটা ঐতিহাসিক সময়ে আছে দেশ। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানেই আছে। তবে ইদানিং তা দুর্বল হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তবে কোন দিক দিয়ে দুর্বল হয়েছে তা নিয়ে আমার জিজ্ঞাসা আছে। এ নিয়ে আরও আলোচনা করার সুযোগও রয়েছে।

আইএমএফের লোন প্রসঙ্গে মুখ্য সচিব বলেন, ভালো গ্রাহকদের ডেকে ডেকে ঋণ দেয় ব্যাংক। কয়েক মাস আগে আইএমএফের নিয়মিত একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছিল। তখন তারাই বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। যেহেতু ডলার নিয়ে একটা অস্থিরতা চলছে, তাই বাংলাদেশ আইএমএফের ঋণ নিতে রাজি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী বলেন, মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখতে ভয় পাচ্ছে। কারণ, ব্যাংক আয়করের সনদ চাচ্ছে। এসব কারণে ব্যাংকে টাকা নেই। মানুষ বালিশের নিচে টাকা রাখছে।

বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, পরিকল্পনা সচিব মো. মামুন আল রশীদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান, সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও মোস্তাফিজুর রহমান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জায়েদী সাত্তার, ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দীন, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুস সাত্তার মন্ডল, অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD