September 16, 2024, 11:15 pm
যমুনা নিউজ বিডিঃ কয়েক মাস ধরে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মন্দাভাব চলছে। এ কারণে তেলের উত্তোলন কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপণনকারী দেশসমূহের জোট ওপেক প্লাস; কিন্তু এরপরেও মন্দাভাব কাটছে না।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে ফের কমেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
রয়টার্সের তথ্য মতে, মঙ্গলবার পর্যন্ত বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড তেলের দাম ১ দশমিক ৮৮ ডলার কমে হয়েছে ৮৭ দশমিক ৩৭ ডলার। আর প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম এক দশমিক ৬১ মার্কিন ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ৯২ দশমিক ৯৭ ডলার।
শতকরা হিসেবে এই দিন ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম কমেছে ২ দশমিক ১ শতাংশ এবং ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে কমেছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
ফরেন এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ওএএনডিএ’র সিনিয়র বাজার বিশ্লেষক অ্যাডওয়ার্ড মোয়া বরাতে জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ চলছে। এতে ওপেক প্লাসের উৎপাদন কমানোর কিছু ছিল না। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি মোটেই ভালো নয়, যেটি অপরিশোধিত তেলের দামের সমস্যা।
এদিকে ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠান সিএমসি মার্কেটের বিশ্লেষক টিনা টেং বরাতে জানিয়েছে, মার্কিন ডলার, বন্ড বেড়ে যাওয়া এবং চীনের প্রবৃদ্ধিতে মন্দা তেলের দামকে চাপের মধ্যে ফেলেছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে রুশ বাহিনী যে সময় ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করল, সে সময় ব্যাপক চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল জ্বালানি তেলের বাজার। প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম তখন উঠেছিল ১৪৭ ডলার, ইতিহাসে এর আগে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম এত বাড়েনি। কিন্তু তারপর গত জুন মাস থেকে পড়তে থাকে তেলের দাম। একই সময়ে ডলারের মানও বাড়তে থাকে, এবং আন্তর্জাতিক তেলের বাজার প্রায় সম্পূর্ণ ডলার নির্ভর হওয়ায় বিদেশি মুদ্রার মজুত রক্ষার্থে তেল কেনার পরিমাণ কমিয়ে দেয় উন্নয়নশীল বিশ্বের বহু দেশ।
এদিকে চীনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতিতে দৈনিক তেল পরিশোধনের পরিমাণও অনেক কমে যায়। আর বিভিন্ন দেশ যদি তেল কম কেনে, স্বাভাবিকভাবে উৎপাদনও কম হবে এবং তার প্রভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে নিম্নগামী। তবে এই অবস্থা আরও দীর্ঘস্থায়ী হলে অচিরেই বিশ্বজুড়ে মন্দা শুরু হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন জ্বালানি তেলের বাজার বিশেষজ্ঞরা।