September 8, 2024, 6:35 am
শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: অবশেষে বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য মো: রেজাউল করিম বাবলু’র সাথে শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু’র চলমান বিরোধের অবসান ঘটেছে। এতে উপজেলা বাসির মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। আজ শনিবার দুপুরে এমপি বাবলু’র মাঝিড়াস্থ বাস ভবনে আপোস মিমাংসার মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের ইতি ঘটে। শুধু তাই নয়, উভয়ে উভয়কে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করেন এবং মুখে মিষ্টি তুলে দেন।
তাদের কুলাকুলি ও মুখে মিষ্টি তুলে দেয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি টক অব দ্যা উপজেলায় পরিণত হয়। এতে উপজেলা বাসির মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। আপোস মিমাংসাকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান লিটন, যুবলীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল বাসেদ রঞ্জু প্রমুখ।
আপোস মিমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংসদ রেজাউল করিম বাবলু বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর সকালে শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে যে ঘটনা ঘটেছিল তা নিছক ভুল বুঝাবুঝি। তাই উভয় পক্ষের হিতৈষী ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে আজ ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটেছে। অপরদিকে শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু বলেন, সমঝোতাই শান্তির পথ। দ্বন্দ্ব-বিরোধ কারও কল্যাণ বয়ে আনেনা। বরং অশান্তির সৃষ্টি করে। তাই শান্তি-শৃংখলার স্বার্থে শুভাকাংঙ্খি ব্যক্তিবর্গের পরামর্শে আপোস-মিমাংসায় সম্মত হয়েছি। কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম শাজাহানপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আবু জাফর জানিয়েছেন, সাংসদ রেজাউল করিম বাবলু এবং উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নুর মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের কারণে কখন কি ঘটে এ নিয়ে উপজেলার সাধারণ মানুষ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ছিলেন। বিরোধের অবসান হওয়ায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় যোগ দিতে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজনের হাতে লাঞ্ছিত হন বগুড়া-৭ আসনের এমপি রেজাউল করিম বাবলু। এসময় এমপি আত্মরক্ষার্থে উপজেলা চেয়ারম্যানের দিকে পিস্তল তাক করেন। পিস্তল তাক করার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মিরা এবং পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে এমপি বাবলুকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে।