September 8, 2024, 7:19 am
স্টাফ রিপোর্টার: প্রশাসনের পক্ষ থেকে বগুড়ায় পর্যাপ্ত সার মজুদ থাকার কথা বলা হলেও সার ডিলারদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে বগুড়ার জন্য চলতি মৌসুমে যে সার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তাই তারা বগুড়ার জন্য চাহিদা অনুযায়ী সার সরবরাহ ও ডিলারদের কমিশন বাড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কৃষিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
আজ সকালে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন বগুড়া জেলা ইউনিটের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজা ও সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীরের নেতৃত্বে সার ব্যবসায়ীগণ জেলা প্রশাসক মো: জিয়াউল হকের কাছে ওই স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, উত্তরবঙ্গের শস্য ভান্ডার হিসাবে পরিচিত বগুড়া জেলায় প্রচুর পরিমানে আলু ও রবি শস্য চাষ হয়ে থাকে। জেলায় ১৬৩ জন রাসায়নিক সার ডিলার সরকারী নীতিমালা অনুসরণ করে যথাযথ মনিটরিংয়ের আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে সার নিজস্ব খরচে পরিবহন করে কৃষকদের দোরগোড়ায় সরবরাহ করে আসছে। এতে বলা হয় চলতি ২০২২-২০২০ অর্থবছরে দেখা যায় যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হতে বগুড়া জেলার জন্য ইউরিয়া ও নন ইউরিয়া সারের যে চাহিদা দেয়া হয়েছে, তার অনুকূলে যে পরিমাণ সার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। যেমন ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে ১লাখ ৫৯হাজার ৭৩৩ মে. টন, বরাদ্দ হয়েছে ৯৩ হাজার ৮৪৯ টন, টিএসপি’র চাহিদা ৪৯হাজার ৫৩৮ মে. টন, বরাদ্দ হয়েছে ২৩ হাজার ৫৬৩ মে. টন, ডিএপি’র চাহিদা ৬৯হাজার ২৭৯ মে. টন, বরাদ্দ হয়েছে ৪১ হাজার ১৭০ মে. টন এবং এমওপি’র চাহিদা ৮৬হাজার ৮২০ মে. টন্য। এ ক্ষেত্রে বরাদ্দ হয়েছে ২৭ হাজার ৪৯৬ মে. টন।
বর্তমানে সারের সরবরাহ ও বিতরন ব্যবস্থা সন্তোষ জনক হওয়া সত্ত্বেও সারের কিছু অতিরিক্ত চাহিদা পরিলক্ষিত হয় উল্লেখ করে বিএফএ নেতৃবৃন্দ বলেন অনাবৃষ্টি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবান-‘বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জায়গাও যেন ফেলে রাখা না হয়’ এ আহ্বানের প্রতি সাড়া দিয়ে কৃষক সমাজ নিচু জায়গা গুলি চাষ আবাদের আওতায় এনেছে। এ ছাড়া আম বাগান, পুকুরে, মাছ চাষ, চা বাগান, ফুলের বাগান এবং ছাদ বাগানে যে সার ব্যবহার হয় তা হিসাব বর্হিভূত। এ অবস্থায় সার ও তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে কৃষকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। যার ফলে কিছু কিছু এলাকায় সারের ব্যাপক চাহিদা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারা বলেন সার ডিলার গন ১৯৯৬ সন হতে ডিলারশিপ পরিচালনা করে আসছেন। উক্ত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সারের মূল্যবৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পরিবহন খরচ বৃষ্টি, দোকান ভাড়া কর্মচারির বেতনভাতা বৃদ্ধি, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, শ্রমিক মজুরিসহ বর্ণিত সকল খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তার পরেও সার ডিলারগন সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরেও কৃষকদের মাঝে সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে সার সরবরাহ করে আসছেন। কিন্তু ডিলারদের কমিশন বৃদ্ধির বিষয়টি এখনও সরকারের সদয় বিবেচনায় না আনায় এই ব্যবসায় বিরাট অংকের পুজি বিনিয়োগ করে অলাভজনকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন সুষ্ঠুভাবে সার বিতরনের জন্য সারের চাহিদা সমন্বয়, আমদানীকৃত নন-ইউরিয়া নর্দান জোনের রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, রংপুর ও দিনাজপুরে ডাম্পিং করে সেখান থেকে ডিলার পর্যায়ে সার সরবরাহের ব্যবস্থা করাসহ সারের বস্তাপ্রতি পরিবহন ও বিক্রয় কমিশন ১শ’ টাকা থেকে ২শ’ টাকায় সমন্বর করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।