April 25, 2024, 8:28 pm
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটে অটো চালককে গলাকেটে হত্যা ও অটো ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান, র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রতিদিনের মতো রংপুর জেলার মিঠাপুকুরের ভাংনী ইউনিয়নের সুলতান মিয়া অটোরিকশা নিয়ে রংপুরের উদ্দেশে বের হন। পরের দিন সকালে লালমনির হাটের কালিগঞ্জ ইশোরকোল তিস্তা নদীগামী ক্যানেলে সুলতান মিয়ার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ৬ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ক্লুলেস এ হত্যার ঘটনায় র্যাব-১৩ ছায়াতদন্ত শুরু করে।
ঘটনার মাত্র ৬ দিনের মাথায় লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ কাকিনার নজরুল ইসলামের ছেলে মমিনুর ইসলামকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রংপুর নগরীর মডার্ণ মোড় থেকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি তাজহাট থানার আশরতপুর ঈদগাহ পাড়ার মৃত বাবুল চৌধুরীর ছেলে সুজন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সুজন চৌধুরী জানান, ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় সহযোগী মমিনুর ইসলামসহ যতক্ষণ চার্জ থাকবে ততক্ষণ ঘুরবে বলে সুলতান মিয়ার অটো ভাড়া করেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অটোচালক সুলতান মিয়াকে মহিপুর তিস্তা ব্রীজের কাছে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। পরে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে লালমনির হাটের কালিগঞ্জ ইশোরকোল তিস্তা নদীগামী ক্যানেলে নিয়ে গিয়ে সুলতান মিয়ার গলা কেটে লাশ ফেলে অটো নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে অটোরিকশাটি বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেয় তারা।
র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, ছিনতাই হওয়া অটো রিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে, সেইসঙ্গে গ্রেফতার দুইজন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারত্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে এবং আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।