March 29, 2024, 8:53 am

জরিমানার অর্থ গায়েব: ভোক্তার এডির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ডিসির চিঠি

যমুনা নিউজ বিডিঃ ওজনে তেল কম দেওয়ার অভিযোগ এনে জরিমানা আদায় করা হয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রশিদ ধরিয়ে দেয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। কিন্তু নাছোড়বান্দা পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষ হাল ছাড়েননি।  ধীরে ধীরে বিষয়টি গড়ায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। এতেই বাঁধে লঙ্কাকাণ্ড। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইন ও তার দালাল হিসেবে পরিচিত মো. রিদুয়ান।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে মো. রিদুয়ানকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান। তিনি জানান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইনের বিরুদ্ধে জরিমানার নামে দালালের মাধ্যমে টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মহাপরিচালককে লিখিতভাবে জানানো হচ্ছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এসে জরিমানার টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানান ভুক্তভোগী রামুস্থ নাহার ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। এসময় তিনি জরিমানা টাকা আত্মসাতের বিষয়ে প্রমাণাদি হিসেবে মুঠোফোনের কল রেকর্ড এবং ভিডিও চিত্রও দেন। নাহার ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, গত (৬ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে (০৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইন নেতৃত্বে একটি দল নাহার ফিলিং স্টেশনে আসে। এসময় তার সঙ্গে কিছু আনসার সদস্য আর রিদুয়ান নামের এক ব্যক্তি ছিলেন। পরে সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইন একটি জ্বালানি তেলের পরিমাপ যন্ত্র নিয়ে পরিমাপ করেন এবং সামান্য ত্রুটি রয়েছে বলে ফিলিং স্টেশন বন্ধ করে দেয়। পরে অফিসে যোগাযোগের জন্য বলা হয়।

“এরপর একই দিন মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে আসলে সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইন অফিসে ছিলেন না। পরবর্তীতে মুঠোফোনে ফোন করলে সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইন ১ লাখ টাকা রিদুয়ানকে এবং ২০ হাজার টাকা অফিসে জমা দিতে বলেন। তারপর রিদুয়ানকে ডেকে তার হাতে ১ লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়। আর বাকি ২০ হাজার টাকা অফিসের ভেতরে গিয়ে এক কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়ে একটি রশিদ সংগ্রহ করি। পরবর্তীতে অফিসের কর্মকর্তা ২০ হাজার রশিদ দেয়ায় সন্দেহ লাগে। তাই এর পরদিন বুধবার পুনরায় রিদুয়ানকে ১ লাখ টাকা দেয়ার বিষয়টি মুঠোফোনে কথোপকথনের মাধ্যমে রেকর্ড করি আর সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইনের সঙ্গে কথা বলে তারও কল রেকর্ড করি।” এ ঘটনার পর পর বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইন এর সাথে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনোভাবেই কোনও রিসিভ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD