September 8, 2024, 6:59 am
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ এলাকায় প্রভাব বিস্তার, ক্ষমতার মহড়া, ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ মহাসড়কে প্রকাশ্যে রামদা, ছোরা, লাঠি নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুর ২টায় ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।
এ ঘটনায় স্থানীয় এএফএম আসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বাহিনী প্রধান খাজাসহ ১৩ জন ও অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিদের পুলিশ গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানান, ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রকাশ্য দিনের বেলায় রামদা, ছোরা, লাঠিসোটাসহ নিয়ে মহড়া দেয় একদল যুবক। সেই ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর ফরিদপুর নবাগত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ভিডিও ফুটেজে রামদা, ছোরা, লাঠিসোটা হাতে যুবকদের শনাক্ত করে অভিযানে নামে। গত শনিবার (২৭ আগস্ট) কানাইপুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- কানাইপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাব্বির (২৪), তার সহযোগী তুষার (২৩), সাগর বেপারী (২৫), নাজমুল (২৫) ও রাকিব (২২)।
রোববার বিকালে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানা পুলিশ সুপার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কানাইপুর ইউনিয়নে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে দুটি পক্ষ রূপ নেয়। দুই পক্ষই তাদের প্রভাব বিস্তার নিয়ে মাঝে মধ্যেই মহড়া ও শক্তি প্রদর্শন করে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেয় কানাইপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির ও থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি; অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এসএম আসলাম ও ছাত্রলীগ কর্মী সোহাগ।
এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দেশীয় অস্ত্র রামদা, ছোরা, লাঠিসোটা নিয়ে নিজেদের ক্ষমতার জানান দিতে মহড়া দেয়। প্রকাশ্যে মহাসড়কে অস্ত্র হাতে মহড়ার বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে তারা অভিযানে নামে।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখিয়ে এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, ফরিদপুরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সব অভিযান চলমান থাকবে এবং পুলিশের কার্যক্রম আরও বেগবান করা হবে। ফরিদপুরের মাটিতে কোনো সন্ত্রাসীর ঠাঁই দেওয়া হবে না।