October 13, 2024, 12:19 am
যমুনা নিউজ বিডিঃ বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিএনপির কর্মিদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে ১৫ নেতাকর্মীসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়াও সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম ও থানা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক আহম্মেদও আহত হন।
বুধবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ৭ নেতাকর্মীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ও ৮ জনকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি আছেন তারা হলেন, উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের সুমন ইসলাম(২০), ইব্রাহিম(২০), ফেরুসা গ্রামের আহসান হাবিব(১৯), শালমারা গ্রামের মোঃ শাফিন(১৬),নাগের ভিটা গ্রামের বজলুর রহমান (৫০),কুড়িপাইকর গ্রামের হেলাল মন্ডল(৫৫) ও শাহ জামান(৫৫)।
বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেনে ছিলিমপুর (মেডিকেল) পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রকিবুল ইসলাম। তিনি জানান, আহতরা বর্তমানে শফিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন৷
জানা গেছে, দেশব্যাপী বিএনপি ঘোষিত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গোবিন্দগঞ্জ থানা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে। সন্ধ্যায় থানা বিএনপির নিজস্ব কার্যালয় চত্বরে কর্মসূচি শুরু করলে পুলিশ সেখানে বাধা দেয়। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।
একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে বিএনপির নেতা কর্মিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় নেতাকর্মীদের নাক ও দুই হাত রবার বুলেটের স্প্রিন্টারবিদ্ধ হয়।
থানা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক আহম্মেদ জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিক্ষোভ সমাবেশের প্রস্তুতির সময় পুলিশ বিনা উস্কানিতে নেতা কর্মিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং নেতাকর্মীদের ওপর বেধরক লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী বুলেটবিদ্ধসহ মারাত্মক আহত হয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি ইজার উদ্দিন জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে পুলিশ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয় । এসময় আমাদেরও ৫ সদস্য আহত হয়েছেন।