March 28, 2024, 10:30 pm
যমুনা নিউজ বিডিঃ নড়াইল জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। স্বপ্নের ‘পদ্মাসেতু’র পর এবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ৬ লেনের ‘কালনা সেতু’র। কালনা সেতুর উদ্বোধন হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীর আরেকটি স্বপ্নপূরণ হবে।
সেতুর মূল কাজ শেষ হওয়ার পর এখন ছোটখাটো কিছু কাজ চলছে। লাইটিংসহ চলছে দৃষ্টিনন্দন কাজ। ৩০ আগস্টের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতু প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা হলেই চূড়ান্ত হবে উদ্বোধনের দিনক্ষণ।
সেই অপেক্ষায় আছেন সেতু কর্তৃপক্ষসহ গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার কোটি কোটি মানুষ। মুখিয়ে আছেন যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে কালনা সেতু চালু না হওয়ায় নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, নোয়াপাড়া শিল্পনগর, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরসহ আশপাশের কয়েকটি জেলার লোকজন পদ্মা সেতুর সরাসরি সুফলও পাচ্ছেন না। কারণ, কালনাঘাটে এসে ফেরি পারাপারের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সব ধরণের যানবাহনকে। তাই এ অঞ্চলের সবাই তাকিয়ে আছেন কালনা সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
সেতু কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয়রা জানান, এপারে নড়াইলের কালনাঘাট। ওপারে গোপালগঞ্জের শংকরপাশা। মাঝ দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদী। এ নদীর উপরই নির্মিত হয়েছে দেশের প্রথম ৬ লেনের কালনা সেতু। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সম্মতি পেলে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যানবাহন চালাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে কালনা সেতু।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘কালনা সেতু’র ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। কালনাঘাট থেকে ঢাকার দূরত্ব মাত্র ১০৮ কিলোমিটার। ফলে ঢাকার সঙ্গে নড়াইল, বেনাপোল, যশোর, খুলনাসহ আশপাশের সড়ক যোগাযোগ সহজ হবে। তবে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্তু‘এক্সপ্রেস ওয়ে’ নির্মাণ করা হলেও ভাঙ্গা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত এ ধরণের সড়ক নির্মিত হয়নি। ফলে ‘এক্সপ্রেস ওয়ে’র সুফল পাচ্ছে না দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বড় একটি অংশ। ভাঙ্গা থেকে নড়াইল-যশোর-বেনাপোল পর্যন্ত বর্তমানে দুই লেন সড়ক চালু আছে।