April 20, 2024, 2:30 pm

এবার মালদ্বীপ ছাড়তে প্রাইভেট জেটের অপেক্ষায় গোতাবায়া

যমুনা নিউজ বিডিঃ নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সৃষ্ট বিক্ষোভের মুখে বুধবার মালদ্বীপে পালিয়ে যাওয়ার যান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। এখন তিনি সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে এখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং পশ্চিম প্রদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, মালে থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে নির্ধারিত সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে রওনা হননি প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।

সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, রাজাপাকসে, তার স্ত্রী ইওমা রাজাপাকসে এবং দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে আজ (বুধবার) রাতে মালে থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য এসকিউ-৪৩৭ ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে ওই বিমানে চড়েনি তারা।

মালদ্বীপের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের জন্য একটি প্রাইভেট বিমানের ব্যবস্থা করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।

বুধবার শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ অনুমোদন পাওয়ার পর ১৩ জুলাই খুব ভোরে বিমানবাহিনীর একটি ফ্লাইটে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও তার স্ত্রী কাতুনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুই দেহরক্ষীসহ মালদ্বীপে যান।

প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বুধবার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। আগামী ২০ জুলাই সংসদে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে।

শ্রীলঙ্কা স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজাপাকসেকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারণের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। শ্রীলঙ্কার স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনা বলেন, ২০ জুলাই পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।

গত শনিবার (৯ জুলাই) ফোর্টে প্রেসিডেন্ট হাউসে হাজার হাজার লোক ঢুকে পড়ে। তবে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে নাটকীয় ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। সেখানে বিক্ষোভকারীদের ক্যারাম বোর্ড খেলতে, সোফায় ঘুমাতে, পার্ক প্রাঙ্গনে উপভোগ করতে এবং রাতের খাবারের জন্য খাবার তৈরি করতে দেখা গেছে।

খাদ্যে রেকর্ড পরিমাণ মূল্যস্ফীতি, আকাশচুম্বী জ্বালানি খরচ এবং পণ্যের ব্যাপক ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কার প্রায় ৬১ শতাংশ পরিবার নিয়মিতভাবে খরচ কমানোর কৌশল অবলম্বন করছে। তারমধ্যে রয়েছে খাবার গ্রহণের পরিমাণ হ্রাস করা এবং তুলনামূলক কম পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা।

সূত্র : এনডিটিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD