March 29, 2024, 11:14 am

কোরবানির পশু যেমন হওয়া উত্তম

যমুনা নিউজ বিডিঃ দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদকে কোরবানির ঈদও বলা হয়। কারণ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে এই ঈদে মুসলিমরা পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। তাইতো স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খুলে দেওয়া হয়েছে পশুর হাটগুলো। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী গরু বা খাসি কেনা।

তবে শুধু পশু কিনলেই হবে না, হাটে যাওয়ার আগে জেনে নেয়া জরুরি কোন কোন পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ এবং কোরবানির বৈশিষ্ট্য কেমন হবে। চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-

যেসব পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ : ছয় প্রকার পশু দিয়ে কোরবানি জায়েজ বা বৈধ। এসব পশু ছাড়া অন্য পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ নয়। তা হলো উট, গরু, ছাগল, দুম্বা, ভেড়া ও মহিষ। (হেদায়া : ৪/৪৪৮)

পশুর বয়স : দুম্বা, ছাগল ও ভেড়ার বয়স এক বছর হলে এদের দ্বারা কোরবানি করা বৈধ। অবশ্য ছয় মাসের ভেড়া ও দুম্বা মোটাতাজা হলে এবং দেখতে এক বছর বয়সের মতো দেখা গেলে তা দিয়েও কোরবানি করা জায়েজ। গরু ও মহিষ পূর্ণ দুই বছর বয়সী হতে হবে। দুই বছরের কম হলে কোরবানি জায়েজ হবে না। উট পাঁচ বছর বয়সের হতে হবে। এর কম হলে কোরবানি জায়েজ হবে না। (হেদায়া : ৪/৪৪৯)

কোরবানির পশু যেমন হওয়া উত্তম : কোরবানির পশু হবে ত্রুটিমুক্ত, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, মধ্যবয়সী ও দৃষ্টিনন্দন। পবিত্র কোরআনে যেমনটি ইরশাদ হয়েছে, ‘মুসা বলল, আল্লাহ বলছেন, তা এমন গরু যা বৃদ্ধও নয়, অল্পবয়স্কও নয়—মধ্যবয়সী। সুতরাং তোমরা যা আদিষ্ট হয়েছ তা বাস্তবায়ন করো। …আল্লাহ বলছেন তা হলুদ বর্ণের গরু, তার রং উজ্জ্বল গাঢ়—যা দর্শকদের আনন্দ দেয়। …মুসা বলল, তিনি বলছেন, তা এমন এক গরু যা জমি চাষে ও ক্ষেতে পানি সেচের জন্য ব্যবহৃত হয়নি—সুস্থ নিখুঁত। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৬৮-৭১)

উল্লিখিত আয়াতের আলোকে ইসলামী আইনজ্ঞরা বলেন, কোরবানির পশু নিখুঁত, দৃষ্টিনন্দন, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও মধ্যবয়সী হওয়া উত্তম। দৃষ্টিনন্দন যেকোনো রঙের পশু যেমন কোরবানি করা যাবে, তেমনি চাষাবাদে ব্যবহৃত হওয়ার পরও যদি সেই পশু ত্রুটিমুক্ত থাকে তবে তা কোরবানি করা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD