March 29, 2024, 9:10 am

‘লিটমাস পরীক্ষা’য় বার্সেলোনার ড্র

শেষ ষোলোয় ওঠা হয়নি বেয়ার লেভারকুসেনের। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব জার্মান ক্লাবটি শেষ করল মাথা উঁচু করেই। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বার্সেলোনার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে তারা।

​​সুয়ারেজ-নেইমার কাল মাঠে ছিলেন না। নেইমার দলে ছিলেন না চোটের কাছে পরাজিত হয়ে। শেষ ষোলো নিশ্চিত হওয়াতে হয়তো সুয়ারেজের বেলাতেও কোনো ঝুঁকি নেননি কোচ লুইস এনরিকে। উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ডকে কাল বেঞ্চেই রেখেছিলেন বার্সেলোনা কোচ।

এক বছরের একটু বেশি সময় পর কাল বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল পান লিওনেল মেসি। তাঁর গোলেই ম্যাচের ২০ মিনিটে ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। লেভারকুসেন খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনে পিছিয়ে পড়ার অল্প সময়ের মধ্যেই। ২৩ মিনিটে হাভিয়ের হারনান্দেসের গোলে সমতা ফেরায় লেভারকুসেন।

মেসির গোলটি আসে ইভান রাকিটিচের পাস থেকে। ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডারের থ্রু থেকে লেভারকুসেন গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি।
খেলায় সমতা ফিরিয়ে এনে শেষ ষোলোর স্বপ্নটা খুব ভালোভাবেই দেখা শুরু করেছিল লেভারকুসেন। আক্রমণের পর আক্রমণ শুরু করে তারা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের পাশাপাশি লেভারকুসেনের শেষ ষোলোর স্বপ্নের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান বার্সেলোনা গোলরক্ষক টের স্টেগেন। এই সময় জার্মান ক্লাবটির আক্রমণের মাত্রা অনুযায়ী বার্সেলোনার একটি গোল খেয়ে যাওয়া অসম্ভব কিছু ছিল না। একটি গোল হয়ে গেলেই লেভারকুসেনের দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত হয়ে যেত। তুলনামূলক অনভিজ্ঞ চেহারার বার্সেলোনা দল নিয়ে কাল এনরিকে কিন্তু যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্যেই ছিলেন। পুরো ম্যাচে লেভারকুসেন যেখানে বার্সেলোনার গোলে ২৫বার শট নিয়েছে, সেখানে বার্সেলোনার শটের সংখ্যা মাত্র-৬!

কাল বার্সেলোনার একাদশে নেইমার-সু​য়ারেজ তো ছিলেনই না, আরও ছিলেন না আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জেরার্ড পিকের মতো নিয়মিত খেলোয়াড়েরা। নিষেধাজ্ঞার কারণে ছিলেন না দানি আলভেজ। মেসি ছিলেন, কিন্তু তাঁকে খেলতে হয়েছে ক্যামেরুনিয়ান তরুণ-তুর্কি উইলফ্রিড কাপতোউম ও সার্জি সামপারের মতো নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে। এমন একটি দল লেভারকুসেনের আক্রমণের সামনে যেকোনো সময়ই ভেঙে পড়তে পারত, সেটা হাবে-ভাবে ম্যাচ শেষে স্বীকার করে নিয়েছেন কোচ এনরিকেও, । ম্যাচ শেষে তিনি এ ব্যাপারে তাঁর ‘ইতিবাচক’ অনুভূতি’র কথাই বলেছেন, ‘আমি আমার দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সকে ইতিবাচকই মনে করছি।’

লেভারকুসেনের বিপক্ষে ম্যাচটিকে ‘লিটমাস টেস্ট’ হিসেবেই অভিহিত করেন এনরিকে, ‘ম্যাচটা আমাদের জন্য “লিটমাস পরীক্ষা” ছিল। আমার দলের হয়ে যারা বেশি ম্যাচ খেলে, তাদের এই ম্যাচটায় আমি বিশ্রাম দিতে চেয়েছিলাম। আমি মনে করি আমার খেলোয়াড়েরা ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছে। এমন একটি দলের বিপক্ষে আমি এই ইতিবাচক ইঙ্গিত পেলাম, যারা এই ম্যাচটা জেতার পণ করেই মাঠে নেমেছিল।’

শেষ ষোলো নিয়ে ভাবনা অবশ্যই আছে, কিন্তু প্রতিপক্ষের ব্যাপারে কোনো পছন্দ-অপছন্দ নেই বলেই জানিয়েছেন এনরিকে, ‘লটারি হবে, লটারিতে যে-ই পড়ুক, তাদের সঙ্গেই আমাদের খেলতে হবে, এ নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। সূত্র: এএফপি।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD