October 4, 2024, 11:11 am
যমুনা নিউজ বিডিঃ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গোপন আলোচনায় বসেছে সৌদি আরব ও ইসরাইলের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। এ সময়ে ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা সমন্বয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এক প্রতিবেদনের বরাতে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের খবর এমন তথ্য দিয়েছে।
গেল মার্চে মিসরীয় শহর শারম আল-শেখে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বসেন কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, জর্ডান, মিসর ও সৌদি প্রতিনিধিরা।
মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের সাবেক প্রধান জেনারেল ফ্রাংক ম্যাকেঞ্জিও বৈঠকে ছিলেন। এতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে তার দায়িত্বের পরিসর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন সেন্ট্রাল কমান্ডের অধীন ইসরাইলকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
আরব বিশ্বের এতো বেশি শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এর আগে কখনো ইসরাইলের বৈঠক হয়নি। ইরানের ক্রমবর্ধমান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সক্ষমতার হুমকি নিয়ে তারা আলোচনা করেন। তাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মধ্যপ্রাচ্যে তেহরানের প্রভাব কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়ে।
কাতার ও সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরাইলের কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। যদিও ইতিমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরোক্কো ও সুদানের সঙ্গে ইহুদিবাদী দেশটির সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। তখন ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় এসব দেশের মধ্যে আব্রাহাম চুক্তি সই হয়েছিল। এতে ইসরাইলের সঙ্গে আরব বিশ্বের অন্য দেশগুলোরও সম্পর্কের পথ তৈরি হয়েছে।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্ব ও নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে আরব বিশ্বের অধিকাংশ স্বৈর ও স্বেচ্ছাচারী শাসকেরা উদাসীন। আবার ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর অবস্থান একাট্টা।
খবরে দাবি করা হয়, ইসরাইল-সৌদির আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পথ অনেকটা এগিয়ে নিয়েছে শারম আল-শেখের এই বৈঠক। জুলাইয়ে সৌদি-ইসরাইল সফরের পরিকল্পনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তখন মধ্যপ্রাচ্যের দুই বৈরী দেশের মধ্যে উষ্ণতার নতুন কোনো খবর আসতে পারে।
সৌদির আকাশপথ দিয়ে ইসরাইলের বাণিজ্যিক বিমাণ ভ্রমণের অনুমোদন দেওয়ার কথাও থাকতে পারে নতুন ঘোষণায়। লোহিত সাগরের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ দুটি দ্বীপের সার্বভৌমত্ব সৌদির কাছে হস্তান্তরে মিসরীয় পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরবের তেল অবকাঠামোতে প্রায়ই ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে ইসরাইলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেতে মরিয়া আরব দেশগুলো।