October 13, 2024, 2:41 pm
ষ্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া জজকোর্টের আইনজীবি এ্যাডভোকেট ফেরদৌসী আক্তার রুনা বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন। সোমবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “মোঃ সাজ্জাদুল করিম শাহিন (৪৫), পিতা- মৃত শাবলু মিয়া, সাং- চন্ডিহারা নিমারপাড়া, থানা- শিবগঞ্জ, জেলা- বগুড়া। সে একজন মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী, গাঁজা, ফেন্সিডিলের ব্যবসা করে, মাদকের একজন ডিলার সে, এমদাদ নামে একজন মাদক ব্যবসায়ী আছে সে এসব নিয়ন্ত্রণ করে। মাদক ব্যবসার মূলহোতা এই শাহিন খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। ২০১৬ সালে এই এমদাদ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের হাতে নীল কালারের তিনটি ড্রামসহ মাদক নিয়ে ধরা পরে যখন শাহিন ছিল আড়ালে। পরে ২০১৮ সালে শাহিন গোবিন্দগঞ্জ ১ বস্তা গাঁজা নিয়ে ধরা পড়লে ওর বাবা প্রশাসনের হাত থেকে তাকে ছাড়িয়ে আনে। ওর ভাষ্যমত ও যেসব বড় গলায় বলে বেড়াইতো যেনো ডিআইজরি কথা শুনলে সবাই তাকে ভয় পায়। কিন্তু আদৌ ডিআইজির সঙ্গে তার কি ধরনের সম্পর্ক আমার জনা নেই। প্রিয় কলম সৈনিক ভাই ও বোনেরা, এই শাহিন একজন সিন্ডিকেট ভেকু ব্যবসায়ী এর সঙ্গীয় লোকজনসহ শিবগঞ্জ থানায় অবৈধভাবে বালু ও মাটির ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা করেছে ও অবৈধভাবে বালু ও মাটি ব্যবসায়ের ও নিজস্ব ট্রাক ড্রাইভারের নামে মামলা হয়ে জেল খেটে এখনও আদালতে চলমান আছে। মোস্তাক নামে একজনের কাছে সাড়ে চার লক্ষ টাকার মাটি নিয়ে আজও টাকা দেয়নি। মোস্তাকের ভাষ্যমত আপনারা চাহিলে মোস্তাকের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন। এছাড়া মাটি দেয়ার কথা বলে, এলাকায় প্রচুর টাকা আত্মসাৎ করেছে, কিন্তু মাটি দেয়নি। আপনার এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। এছাড়া স্থানীয় লোকজনের নিকট থেকে ট্রপিক্যাল হোমস এর নামে জায়গা জমি ক্রয় করে অফিস থেকে টাকা নিলেও বিক্রেতাদের টাকা দেয়নি বিভিন্নভাবে আত্মসাৎ করেছে। বিভিন্নভাবে ট্রপিক্যাল হোমস লিঃ ও আমার স্বামী ডাঃ রেজাউল করিম সান্নার আমরাপুরি রিসোর্ট, শিবগঞ্জ এর জায়গাজমি ক্রয়ের নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎকরেছে। পরে নতুন করে ধ্বংস করার জন্য ট্রপিক্যাল হোমস বগুড়ার উপর নজর পরে। তখন বগুড়া এসে বগুড়া অফিস থেকে ডিরেক্টর জাহাঙ্গীর আলম সহ ম্যানেজার আল আমিন, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ পারভেজ যারা ২০-২৫ বছর ধরে চাকুরি করতো এদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গুড়া মাস্তান লাগিয়ে দিয়ে তাদের তাড়িয়ে দিয়ে মেয়ে একাউনটেন্ট সারবিনা আক্তার স্মৃতি এর সঙ্গে যোগসাজস করে মিথ্যা মিথ্যা ভাউচার তৈরী করে ক্ষতিগ্রস্থ করতে থাকে। এসব আমি জেনে গেলে ও দেখে আমার স্বামী ডাঃ রেজাউল করিম সান্নাকে জানাইলে প্রথমে আমার নামে বিভিন্ন কলঙ্ক দিয়ে আমার স্বামীর মন বিগড়ে দেয়ার চেষ্টা করে। আমার স্বামীর জীবন থেকে আমাকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হইলে আমার স্বামীর মোবাইল, কম্পিউটার কেড়ে নিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। আমার সঙ্গে আমার স্বামীর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমার সংসার খরচসহ াবতীয় খরচ বন্ধ করে দেয়। আমাদের দুজনের জীবন আজ চরম দুর্বিসহ করে তুলেছে ওদের অবৈধ লুটপাট ও স্বার্থের কারনে। প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আমার, ট্রপিক্যাল হোমস লিঃ এর বগুড়া শাখা অফিসে আমি লিগ্যাল এ্যাডভাইজার হওয়ায় মাঝেমাঝে গিয়ে বসতাম, ফাইলপত্র দেখতাম। আমার চেয়ার টেবিল ঐ শাহিন দখল করে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করলে আমি শজিমেক এ কয়েক দিন ভর্তি থাকার পর খানায় এজাহার দায়ের করতে গেলে ওসি খানায় আমার এজাহার গ্রহণ করে না কারন পূর্বেই আসামীদের সঙ্গে প্রশাসনের লেনদেন কমপ্লিট হয়ে যায়। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে মামলা দায়ের করিলে জি.আর ৩৭৭/২৪ সদর মামলাটি উঠে নেওয়ার জন্য আমার উপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার শুরু হয়ে যায়। আমাকে উক্ত অফিস হইতে সরিয়ে দেয়। এসব কিছুই ফাহাদ উর রহমান, পিতা- লুৎফর রহমান, সাং- ট্রপিক্যাল ইলিয়াস প্রাঙ্গন, জলেশ্বরীতলা, বগুড়ায় সঙ্গে যোগসাজস করে এবং আমার স্বামীর ১ম পক্ষের ছেলে তানভির রেজাকে কৌশলে হাত করে ষড়যন্ত্র করে নর্থ বেঙ্গলের সমুদয় প্রজেক্টের দায়িত্ব ফাহাদ উর রহমান সুহাস ও শাহিন দায়িত্ব নেয় এবং বলতে থাকে, “চেয়ারম্যানের ব্যাটাতো সারাজীবন বিদেশে থেকেছে, কোথায় কি আছে কিছুই জানে না, চেয়ারম্যান মরলে সবকিছুই আমাদের ভোগ দখলে, চেয়ারম্যানের ব্যাটা কিছুই করতে পারবে না। পরে ওকে কাবু করবো”। এই সুহাসের নেতৃত্বেই শাহিন আমার স্বামীর ১ম পক্ষের ছেলেকে হাত করে এই শাহিন আমাকে হত্যা করার বিভিন্ন রকমের প্ল্যান করতে থাকে এবং পেছনে ছায়ার মত লোক লাগিয়ে দেয়। বাসায়, বাহিরে, আদালতে সর্বত্রই আমার পেছনে লোক নিয়োগ করেই ক্ষান্ত হয়নি, আমার নামে যতরকম মিথ্যা অপবাদ আছে দিতে থাকে, পারিবাপরিক ও সামাজিকভাবে আমাকে হেনস্তা ও মানহানি করতে থাকে। আসামী শাহিন ঘোষণা দেয়, “আমার স্বামীর সংসার স্বামীর আবর, স্বামীর অংশীদায়িত্ব থেকে বের করে দেবে। আমার এমন অবস্থা করবে আমি যেনো সমাজের মাঝে মুখ দেখাইতে না পারি। বাধ্য হয়ে সুইসাইড করি, নইলে আমাকে খুন করে ভারতে কিছুদিন পালিয়ে থাকবে। সবকিছুই সুহাসের নেতৃত্বে শাহিন করতে থাকে এবং ডিআইজি মিলন ও ডিআইজ মুয়াজের নাম ব্যবহার করতে থাকে এবং বলে, “পুরো প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগ নেতারা আমার হাতে, তোকে খুন করলেও আমার একটা লোমও কেহ স্পর্শ করিবে না, তোকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবো। প্রিয় দেশ ও জাতীর বিবেক সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা, বগুড়ার সাবেক ওসি সায়হান ওয়ালি উল্লাহ ও সাবেক এসপি সুদীপ কুমারকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে তাদের সহযোগীতায় আমার উপর চরম নির্যাতন করতে থাকে। আমি বারবার প্রশাসনের কাছে গেলেও কিন্তু সহযোগীতা পাইনি তাদের নিকট। মাঝেমাঝেই ঢাকা থেকে তানভির রেজা, সুহাস, নুরুল হুদা এসে ওসি ও এসপি সহ আওয়ামী বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে ফাইভ স্টার হোটেলে, বিভিন্ন চাইনিজ হোটেলে কখনো ট্রপিক্যাল ইলিয়াস প্রাঙ্গনে তাদের মিটিং চলতো। কিভাবে আমাকে ধ্বংস করা যায়, ফাঁসানো যায় এবং কিভাবে আসামীদের নিরাপত্তা দেয়া যায়। আমাকে মারার পর মামলা করলে ঐ শাহিন F.I.R আসামী হওয়া স্বত্ত্বেও সমস্ত ইনফরমেশন দেয়া স্বত্ত্বেও আসামী শাহিনকে গ্রেফতার করে না প্রশাসন। ঐ শাহিন যত অপকর্ম করতো সব সময়ই ডিআইজি মিলন ও ডিআইজি মুয়াজ এর নাম ব্যবহার করে হুমকি দিত আর বলত উনারা থাকতে আমার কিছু করতে পারবি না। কিন্তু ঐ ডিআইজি গণের সহিত তার কেমন যোগাযোগ বা লেনদেন ছিল যেটা আমার জানা নাই। সরাসরি আমাকে হুমকি দিত এবং বলত “মাসে মালে মোটা অংকের প্যাকেট দেই, প্রশাসন আমার লোমও ছুঁতে পারবে না। শুধুই তাই নয়, আসামীদের প্ররোচনায় তানভির রেজা ৫০ লাখ টাকা ডিআইজির সঙ্গে কন্টাক করে আমার নামে সাইবার ক্রাইমে মিথ্যা মামলা করে। সে কারনে আর্থিক ও মানসিকভাবে আমি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরেছি। মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে আমাকে জেলে দিতে হবে সেই শর্তে। যা আমার স্বামী জানেই না। অথচ তাকে বাদী করে মামলা করেছে। ৫০ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণের মামলা করেছে আমার স্বামীর নাম দিয়ে। আমার সংসার খরচসহ যাবতীয় খরচ বন্ধ করে দিয়ে আমাকে হক থেকে বঞ্চিত করার জন্য লাখ লাখ টাকা বাজি রেখে গুন্ডা মাস্তানকে লেলিয়ে দিয়ে আমাকে শেষ করার জন্য যা এখনো চলমান। আমার স্বামীর ক্ষতিপূরণের মামলা যদি ৫০ কোটি ৫০ লাখ টাকা হয় তবে আমার স্বামীর মতো পজিশনে থেকে আমার উপর এই অত্যাচার, মানহানি করার জন্য আমার ক্ষতিপূরণ হওয়া উচিত ২ বিলিয়ন কারন আমি একজন নারী প্রিয় দেশ ও জাতীর বিবেক সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা, আসামী শাহিনের নামে শিবগঞ্জ থানায় ১০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা হয়েছিলো যার নাম্বার জি.আর ১৭৬/১২ (শিবঃ)। এছাড়া তার প্রতিবেশী তানিয়াকে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তাদের পৈত্রিক জমি জবর দখল করতে গিয়ে তার হাটু পা ভেঙ্গে দেয় সেই মামলা নং ৪৪৮ সি/২৩ (শিবঃ) ছাড়াও ওর নামে আরও মামলা আছে। ওর নামে যত মামলায় হয় তদন্ত অফিসারসহ প্রশাসনকে টাকা দিয়ে সব রিপোর্ট ওর পক্ষে করে নেয় ও নিজ মুখে আমার সামনে বলেছে, পরে হাসাহাসি করে সবার সামনে সেগুলো ঘোষণা দেয়। ওদের অত্যাচারে আমার স্বামী আজ মৃত্যুশয্যায়। আমার জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। গত ইং ১২/০৯/২৪ তারিখ, বৃহস্পতিবার আদালতে আমাকে মেরে ফেলার ও ক্ষতি করার হুমকি দেয় এবং আমি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে যাওয়ার সময় রাস্তা পার হইলে হঠাৎ আমার পথরোধ করে মুখ খারাপ করিয়া গালি দেয় এবং বলে যে, “তোর কি ক্ষতি করি দেখ।” তার পরপরই গত ১৫/০৯/২০২৪ তারিখ রবিবার সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় আমার সেরেস্তায় গিয়ে দেখি আমার সেরেস্তা গওহর আলী ভবন নিচতলা হইতে ফাইলপত্র টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র সহ আমার ফাইল কেবিনেট চুরি করে। যা আমার সীমাহীন ক্ষতি হয়েছে। ওর অত্যাচারে আমার জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। আমি গত ইং ১৫/০৯/২৪ তারিখে বার সমিতিতে এবং থানায় অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। কেবিনেট চুরির ঘটনা কর্মস্থলের সবাই জানে, শুনেছে ও দেখেছে। আমি এই বিষয়ে অভিযোগ পত্রটি বর্তমান পুলিশ সুপারের নিকটও দিয়েছি। কিন্তু ফাইলপত্রসহ কেবিনেট এখনও এখনো পাইনি। ০৫ তারিখ পর্যন্ত ঐ শাহিন আওয়ামীলীগের কর্মী হিসাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক, তাদের খাওয়ানোসহ সবকিছুই করতো, তাদের দাপট দেখাইত। ঠিক ০৬ তারিখে ট্রপিক্যাল হোমস লিঃ, বগুড়া অফিসে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিশাল একটা প্যানা টানিয়ে বিএনপি’র পরিচয় দিতে থাকে এবং বিএনপি’র কর্মীদের সঙ্গে অফিসে, বাহিরে, দত্তবাড়ীতে, ঝাউতলাতে মিটিং করিতে থাকে। প্রিয় কলম সৈনিক ভাই ও বোনেরা আমার, আমি আপনাদের মাধ্যমে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের দ্বারা জানাইতেছি যে, এখনতো সরকার পরিবর্তন হয়েছে, আসামীদের বিরুদ্ধে কেন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। তৎকারনে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, বগুড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট নিরাপত্তা চেয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ কামনা করিতেছি।