October 4, 2024, 11:46 am
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে ভাটরা ইউনিয়ন বিএনপির সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১২৬ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে পৌর আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত রোববার রাতে ভাটরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, মাটিহাস গ্রামের আক্কেল আলী মন্ডলের ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে থানায় মামলা দায়ের করে। মামলায় ১১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কুমিড়া পন্ডিতপুকুর বাজার সংলগ্ন স্কুলমাঠে ইউনিয়ন বিএনপির সমাবেশ শেষে দূর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করে বিএনপি।
সোমবার নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসাইন আজম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ৬৪মে ম্বরন আসামি আরিফুল ইসলাম (৩৮) পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। তিনি ঢাকইর মহল্লার আব্দুল আলীর ছেলে। অন্যজন ৬৮ নম্বর আসামি মামুনুর রশিদ মামুন (৩৫) পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। তিনি কালিকাপুর মহল্লার হবিবর রহমানের ছেলে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন রানা, সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র আনিছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য মুকুল মিঞা, সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার, ফিরোজুর রহমান ফিরোজ, ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী, ফিরোজ কামাল ফারুক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দুলাল চন্দ্র মহন্ত, তার ভাই স্বপন চন্দ্র মহন্ত, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সবুজ, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ রায়হান মানিক, শ্রমিক লীগের সভাপতি এনামুল হক, আহবায়ক শাহিনুর রহমানসহ অনেকে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পন্ডিতপুকুর হাইস্কুল মাঠে ভাটরা ইউনিয়ন বিএনপির মতবিনিময় সভা শেষ হওয়ার পরই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা ও সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানের নির্দেশে শতাধিক আসামিরা সেখানে হামলা করে। তারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং একটি অবিস্ফোরিত ছিল৷ হামলায় উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাসুদ রানাসহ ৪-৫জন নেতাকর্মী আহত হয় বলে অভিযোগ করেন।