October 13, 2024, 1:29 pm
ষ্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় সিগারেট খাওয়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার ঘটনায় শায়েস্তা করতেই হত্যা করা হয় স্কুলছাত্র নাসিমকে। এ ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ।
গ্রেপ্তার ওই দুইজন হলেন- গাবতলী উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের এনামুল হক এবং সারিয়াকান্দির ফুলবাড়ী পশ্চিমপাড়া এলাকার আ: জলিল মণ্ডলের ছেলে ফিরোজ ইসলাম। এর মধ্যে এনামুল নাসিমের মামাতো ভাই এবং ফিরোজ সম্পর্কে চাচা।
এর আগে সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে গাবতলী উপজেলার ঈশ্বরপুর পুর্বপাড়ায় বসতবাড়ির মুরগির খোয়ারের মাটিতে পুঁতে রাখা নাসিমের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নাসিম সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ওয়াজেল মণ্ডলের ছেলে। এছাড়াও সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, কিছুদিন পূর্বে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে নাসিমের সাথে আসামিদের বাকবিতণ্ডা হয়। সেই থেকে আসামিরা নাসিমকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৫ ফেব্রুয়ারী রাতে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে নাসিমকে কৌশলে ডেকে নেয় তারা। পরে তারা গাবতলীর ঈশ্বরপুর গ্রামে এনামুলের বাড়ির পাশে রাস্তার উপর নিয়ে নাসিমের হাত পা বাধার চেষ্টা করে। এসময় নাসিম চিৎকার চেচামেচি করলে আসামিরা গলা ও মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর তারা নাসিমের মরদেহ এনামুলদের বাড়ির মুরগীর খোয়ারে বস্তাবন্দি করে মাটির নিচে পুঁতে রাখে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার কয়েকদিন পর আসামিরা নাসিমের বাবার মোবাইলে নম্বরে যোগাযোগ করে মুক্তিপণের জন্য ৮০ হাজার টাকা দাবি। সেই সুত্র ধরেই আসামিদের গ্রেপ্তার এবং তাদের দেয়া তথ্যমতে নাসিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।