October 16, 2024, 8:36 am
যমুনা নিউজ বিডি: পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল) নওয়াজ শরীফ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে সরকার গঠনে জোট করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের আদিয়ালা জেলে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ইমরান খান বলেন, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের (এমকিউএম-পি) সঙ্গেও জোট গঠন করা হবে না। তবে অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের ব্যাপারে আলোচনা করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জোট না করতে চাওয়া দলগুলো অর্থপাচারকারী। যাদের ক্ষমতায় নিয়ে আসা হয়েছে তারা সবাই পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় অর্থপাচারকারী। তবে গত ৮ ফেব্রুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে; তা পাকিস্তানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনবে।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানে স্বতন্ত্রপ্রার্থীকে গুলি করে হত্যা
তিনি আরও বলেন, যখন জানতে পেরেছি যে, নওয়াজ শরীফ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ সাংবাদিক সম্মেলন বাতিল করেছেন; তখনই বুঝতে পেরেছি, তারা দুজনই নির্বাচনে হেরে গেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, আগে আমরা নির্বাচনের কারচুপির বিরুদ্ধে আদালতে যাব। আমরা নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবো।
তিনি বলেন, পিটিআই সরকার গঠনের সুযোগ পেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা এখনও ঠিক করা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রার্থী ঠিক না করলেও খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুরের নাম ঠিক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নজিরবিহীন বিলম্বের পর রোববার ২৬৪টি আসনে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য ১৩৪টি আসন প্রয়োজন। নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৯৩ জনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত। ৭৫ আসনে জিতে এরপরের অবস্থানে আছেন নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল)। আর ৫৪ আসনে জয়লাভ করে তৃতীয় অবস্থানে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এ ছাড়া এমকিউএম ১৭টি ও অন্যান্য দল ১৭টি আসনে জয়লাভ করেছে।
ফলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি কোনো দলই। তাই জোট গঠনে তোড়জোর চালাচ্ছে দলগুলো। বিশেষ করে নওয়াজ শরিফের পিএমএল ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপির জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখন অনেকটাই পাকা। তবে, বড় এ দুই দলের মোট আসনও পূরণ করতে পারছে না সরকার গঠনের জন্য ন্যূনতম আসন পূরণের শর্ত। এ জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিশেষ করে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শিবিরে হানা দিচ্ছেন নওয়াজ।
সূত্র : জিও টিভি