October 11, 2024, 8:07 am

News Headline :
খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনার নামে মামলা রোহিঙ্গা সংকট একটি তাজা টাইম বোমা: ড. ইউনূস বগুড়ায় মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে গণমানুষের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে হবে-উপাচার্য ওবায়দুল ইসলাম নন্দীগ্রামে বিএনপির মামলায়  যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪  বগুড়ায় হেল্প ব্লাড ডোনেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও স্বেচ্ছাসেবী মিলন মেলা অনুষ্ঠিত ভারত ছাড়ছেন শেখ হাসিনা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ দ্বারপ্রান্তে: ট্রাম্প আজ ঢাকায় আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্র সংস্কারে ৫ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন

১৭০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের রেকর্ড

যমুনা নিউজ বিডি: এক সময়ের দেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল চা আবারো শ্রেষ্ঠত্বের রেকর্ড গড়েছে। এর ফলে চা উৎপাদন এবং বিপণনের সব সম্ভাবনায় যুক্ত হবে প্রতিযোগিতামূলক অগ্রযাত্রা।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের (বিটিবি) তথ্য মতে- সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ সালে দেশের বাগানগুলোতে ইতিহাসের সর্বোচ্চ চা উৎপাদন হয়েছে। বলা যায়- ১৭০ বছরের চা শিল্পের ইতিহাসে এটাই শ্রেষ্ঠতম অর্জন। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে চা উৎপাদন হয়েছে ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি। এটাই সর্বকালের স্বীকৃতি। তবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি।

গত ২০২২ সালে ১০ কোটি কেজি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও উৎপাদিত হয় ৯ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার কেজি। এর আগে ‘দ্বিতীয় রেকর্ড’ করেছিল ২০২১ সালে। সে বছর ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। আর চা শিল্প চা উৎপাদনের ‘তৃতীয় রেকর্ড’টি করেছিল ২০১৯ সালে। ওই বছর চা উৎপাদিত হয়েছিল ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি।

তথ্য মতে- দেশে মোট চা বাগানের সংখ্যা ১৬৮টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চা বাগান মৌলভীবাজার জেলায়। ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় প্রথম চায়ের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। সে হিসাবে প্রায় ১৭০ বছর ধরে দেশে চা উৎপাদন হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এবারই প্রথম লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফলতা এসেছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা সংসদের (বিটিএ) সিলেট ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান সভাপতি এবং সিনিয়র টি-প্লান্টার জি এম শিবলী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনাগুলো গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ফলেই চা শিল্পে এমন সাফল্য এসেছে। আগে অনেকে আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে চা বাগান কিনতেন। কিন্তু তারা উৎপাদনে মনোযোগী ছিলেন না। সেদিন আর নেই। বিশেষত বড় করপোরেট হাউসগুলো চা বাগানে বিনিয়োগ করার পর থেকেই উৎপাদন বাড়ছে।

তিনি আরো বলেন, দেশে চায়ের উৎপাদন খরচও অনেক বেড়েছে। কিন্তু নিলামে অনেক সময় ভালো দাম পাওয়া যায় না। যারা প্যাকেটজাত করেন তারা বাজারে অনেক দামে চা বিক্রি করেন। কিন্তু বাগান মালিকরা তেমন দাম পান না। এই অবস্থা চলতে থাকলে তারা নিরুৎসাহিত হবেন। তাই চা শিল্প টিকে থাকার স্বার্থে ভালো চা তৈরি এবং নিলামে ভালো দামের দিকেও লক্ষ্য রাখা জরুরি।

প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের (পিডিইউ) পরিচালক ড. রফিকুল হক বলেন, এই রেকর্ডের জন্য চা বাগানগুলোতে নানামুখী কার্যক্রমকে গতিশীল করা হয়েছে। চায়ের উৎপাদন বাড়াতে সমতলে চা চাষে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিনামূল্যে চারা ও মেশিনারিজ বিতরণ করা হয়েছে। ফলে উত্তরাঞ্চল এবং সমতলেও চা চাষের পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া বাগানগুলোর আয়তন আড়াই শতাংশ হারে বৃদ্ধি করার চেষ্টা চলছে। এসব উদ্যোগের ইতিবাচক ফল মিলেছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা বোর্ড (বিটিবি) এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম এনডিসি-পিএসসি বলেন, চা বোর্ড, বাগানমালিক, শ্রমিক, ক্ষুদ্র চাষি সবার দলগত সাফল্যের ফলেই চায়ের ইতিহাসে উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। চা চাষে প্রণোদনা, সঠিক পরিকল্পনা, বাগানগুলোতে পুরনো গাছ সরিয়ে নতুন গাছ এবং চারা রোপণ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিদায়ি ২০২৩ বৎসরে চা শিল্পে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

দেশে চায়ের চাহিদা ৯ কোটি ২০ থেকে ৩০ লাখ কেজি। উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন বাড়তি চা রপ্তানিতে নজর দিতে হবে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD