October 11, 2024, 5:46 am

News Headline :
খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনার নামে মামলা রোহিঙ্গা সংকট একটি তাজা টাইম বোমা: ড. ইউনূস বগুড়ায় মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে গণমানুষের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে হবে-উপাচার্য ওবায়দুল ইসলাম নন্দীগ্রামে বিএনপির মামলায়  যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪  বগুড়ায় হেল্প ব্লাড ডোনেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও স্বেচ্ছাসেবী মিলন মেলা অনুষ্ঠিত ভারত ছাড়ছেন শেখ হাসিনা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ দ্বারপ্রান্তে: ট্রাম্প আজ ঢাকায় আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্র সংস্কারে ৫ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন

রাষ্ট্রের ঘণ্টা বেজে গেছে: আ স ম আব্দুর রব

যমুনা নিউজ বিডি: কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নয়—রাষ্ট্রের ঘণ্টা বেজে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্রের গভীর সংকট নিরসনে বিদ্যমান নিপীড়ন ও অবিচারমূলক শাসন ব্যবস্থার অবসানে স্বাধীনতার চেতনাভিত্তিক কার্যকর সরকার ও শাসনব্যবস্থা, শক্তিশালী ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও জবাবদিহিতা প্রবর্তনে জাতীয় ঐক্য ও গণজাগরণ সৃষ্টি করে বিপর্যয়ের মুখে পতিত অর্থাৎ রাষ্ট্রের ঘণ্টা বেজে গেছে—এই দুঃসহ অবস্থান থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। এতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ‘কার জন্য ঘণ্টা বাজছে’ শীর্ষক নিবন্ধ প্রকাশের জন্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে অভিনন্দন জানান আ স ম রব।

বিবৃতিতে তিনি অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে বিরাজমান বাস্তবতায় ‘বিবেকের বার্তাবাহক’ বলে উল্লেখ করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক রেহমান সোবহান নিবন্ধে বলেছেন—বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের ওপর এই ঘটনার ব্যাপক প্রভাব নিয়ে আমার গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনে বছরের পর বছর ধরে আইনের একতরফা অপব্যবহার করা হচ্ছে। সরকার সামরিক বা রাজনৈতিক যেমনই হোক না কেন, এই অপব্যবহারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র ও শাসনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর-ব্যাপক আক্রমণের অংশ হিসেবে বিচারব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু আমাদের বিচারব্যবস্থাই নয়; আমাদের প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সাংবিধানিক সংস্থা-যেমন সংসদ, নির্বাচন কমিশন (ইসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সবই এমন পর্যায়ে দলীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে তারা সুশাসনের স্তম্ভ হিসেবে কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।

এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের বিদ্যমান বাস্তবতা অর্থাৎ রাষ্ট্রকে ধ্বংসের মুখে নিপতিত করে দেয়ার চিত্র ফুটে উঠেছে। এতে প্রকাশ পেয়েছে জাতির ভবিষ্যতের রাস্তা কত অনিশ্চিত ও বিপদসংকুল।

রেহমান সোবহানের নিবন্ধকে শত্রু শিবিরের নজির বা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, সত্য কেবল সত্যই। তিনি শুধু সেই অভিজ্ঞতার ব্যাখ্যা দিয়েছেন যা তিনি নিজে অবলোকন করেছেন। নিবন্ধে প্রকাশিত হয়েছে—শুধুমাত্র ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে লাগামহীনভাবে সংবিধানের সকল প্রতিষ্ঠান আইনগত ও নৈতিকভাবে অন্তঃসারশূন্য অক্ষম প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে; যা জনগণের সাংবিধানিক অধিকারকে সুরক্ষা না দিয়ে ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর। ফলে শুধুমাত্র কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নয়—রাষ্ট্রের ঘণ্টা বেজে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD