October 4, 2024, 5:39 am
স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার কাহালুতে কিশোর সাহেল হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। একটি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্যই তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর ছিনতাই করা অটোরিকশাটি ৪৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে ভাগ করে নেয় ৩ জন।
এদের মধ্যে ছিনতাই চক্রের সদস্য আজিজুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা থেকে র্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য দিয়েছে আজিজুল।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেসব্রিফিংকালে র্যাব-১২ বগুড়ার অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন জানান, গত ১৫ জানুয়ারি দিনগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে র্যাব-১২,সিপিএসসি বগুড়া ও র্যাব-৪, সিপিসি-২ নবীনগর ক্যাম্পের সদস্যরা ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবো এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে আজিজুলকে গ্রেফতার করে।
আজিজুল তদন্তে প্রাপ্ত আসামি। সে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চকঝিনা হার এলাকার মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। র্যাব১২ বগুড়ার অধিনায়ক আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল সাহেল হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
স্বীকারোক্তিতে আজিজুল বলেছে, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্যই সাহেলকে কাহালুতে হত্যা করা হয়। এই কিলিং মিশনে অংশ নেয় সেসহ ৩ জন। তারা যাত্রীবেশে শহরতলির মাটিডালি থেকে সাহেলের অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে কাহালুতে যায়।
এরপর কাহালুর কালাই ইউনিয়নের সুখানগাড়ী গ্রামে কাউড়া এলাকায় খড়ের পালার ভিতর সাহেলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। এরপর তার অটোরিকশাটি একজনের কাছে ৪৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে। সেই টাকা তারা ৩ জন মিলে ভাগ করে নেয়। সে ভাগের টাকা হিসাবে ১৫ হাজার ৫শ’ টাকা পায়।
ধৃত আজিজুল গ্রেফতার এড়াতে ও মামলার সাজা থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানিয় আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশি হতে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে বিভিন্ন কৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। তাকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই বগুড়ায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে নিয়ে র্যাব এ হত্যার ঘটনায় ২ জনকে এবং পিবিআই ১জনকে গ্রেফতার করেছে।
উল্লেখ্য, শহরের বৃন্দাবনপাড়া এলাকার অটোরিকশা চালক সায়েল নিখোঁজের ঘটনায় তার মা উমবি বেগম সদর থানায় প্রথমে একটি জিডি করেন । এরপর গত ২১ ডিসেম্বর সাহেলের লাশ উদ্ধারের পর তার মা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তবে মামলায় কোন আসামির নাম উল্লেখ ছিলনা। মামলাটি ছিল ক্লুলেস। এ ধরনের নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডটি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এরপর আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামি আজিজুলকে গ্রেফতার করা হয় ঢাকা থেকে।