October 11, 2024, 6:52 am

News Headline :
খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনার নামে মামলা রোহিঙ্গা সংকট একটি তাজা টাইম বোমা: ড. ইউনূস বগুড়ায় মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে গণমানুষের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে হবে-উপাচার্য ওবায়দুল ইসলাম নন্দীগ্রামে বিএনপির মামলায়  যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪  বগুড়ায় হেল্প ব্লাড ডোনেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও স্বেচ্ছাসেবী মিলন মেলা অনুষ্ঠিত ভারত ছাড়ছেন শেখ হাসিনা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ দ্বারপ্রান্তে: ট্রাম্প আজ ঢাকায় আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্র সংস্কারে ৫ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন

আজ ১৪ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ হানাদারমুক্ত দিবস

আজ ১৪ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী সিরাজগঞ্জ শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহরে বিজয়ের প্রতীক স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দেন।  সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১০ ডিসেম্বর থেকে সিরাজগঞ্জে পাক হানাদার বাহিনীর মনোবল ভাঙতে শুরু করে। তাদের সহযোগী তথাকথিত শান্তি কমিটি রাজাকার বাহিনী ও আল বদরদের সহযোগীরাও সীমাবদ্ধ হতে থাকে। ১৩ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীকে তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং স্থল ও নৌপথ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। পাক হানাদারদের দখলে থাকে একমাত্র রেলপথ।

সিরাজগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আমির হোসেন ভুলু, প্রয়াত ইসমাইল হোসেন, পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত আব্দুল লতিফ মির্জা, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, যুদ্ধকালীন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার প্রয়াত লুৎফর রহমান অরুন, গাজী শফিকুল ইসলাম শফি, কোম্পানী কমান্ডার ও পান্না বাহিনীর প্রধান প্রয়াত টিএম শামীম পান্নাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা সিরাজগঞ্জের রেলওয়ে ঘাট, যমুনা নদীর তীর এলাকা, কাজিপুর মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় সমবেত হন। এ সময় পাক হানাদার তাদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে মুক্তিযোদ্ধাদের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য সিরাজগঞ্জ ছেড়ে ট্রেনযোগে ঈশ্বরদীর দিকে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রবর্তী বাহিনীও রেকি করতে পাঠানো হানাদারদের পালিয়ে যাবার খবর সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। পরে জয় বাংলা ধ্বনি ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে শহীদ মিনারের পাদদেশে সমবেত হন মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা সেখানে দেশ গঠনের শপথ নেন।এখানে প্রয়াত আমীর হোসেন ভুলুকে মুক্তিবাহিনীর আঞ্চলিক অধিনায়ক ও ইসমাইল হোসেনকে প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এদিকে সিরাজগঞ্জ শহর থেকে পাক হানাদারদের পালিয়ে যাবার সাথে সাথে জেলার বেলকুচি, কামারখন্দ, রায়গঞ্জ, চৌহালী, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর থানা এলাকাসহ অন্যান্য এলাকা হানাদার মুক্ত হয়। ১৪ ডিসেম্বর ভোরে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ওয়াপদা অফিসে পাকবাহিনীর মূল ক্যাম্প দখলে নেন মুক্তিযোদ্ধারা। ওইদিন কওমী জুটমিল, মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।  এ দিন উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা প্রশাসন দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। জেলা আ’লীগের  সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, সিরাজগঞ্জ মুক্তদিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ১৪ ডিসেম্বর সকালে পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং শহরে একটি র‌্যালি বের করা হবে। এ র‌্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করবে এবং বিকেলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD