October 11, 2024, 12:46 pm
যমুনা নিউজ বিডি: আজ ৩ ডিসেম্বর (রোববার) ৩২ তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস। শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই দিবসটির সূচনা হয়।
দেশে এ বছর ২৫তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন হবে। এ বছর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্মিলিত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত করবে এসডিজি অর্জন’।
প্রতিবন্ধী মানুষদের অন্যদের তুলনায় কিছুটা বেশি যত্নের প্রয়োজন পড়ে। তারা আমাদের সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অথচ তাদের নিয়ে অনেকেরই বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা থাকে। সেই ভ্রান্ত ধারণা কাটাতেই তাদের জন্য একটি বিশেষ দিন উদযাপন করা হয়।
১৯৯২ সাল থেকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে প্রায় সব দেশেই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। মূলত প্রতিবন্ধীদের প্রাপ্য অধিকার ও সুরক্ষায় নিশ্চিত করাই এই দিবসের উদ্দেশ্য। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে দেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার দিতে সীমিত পরিসরে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে ।
প্রতিবন্ধী মানুষের রয়েছে নানা রকম প্রকারভেদ। শারীরিক প্রতিবন্ধী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, শ্রবণ প্রতিবন্ধী, বাকপ্রতিবন্ধী, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, এমনকি বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়ে বয়স, লিঙ্গ, জাতি, সংস্কৃতি বা সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী এই মানুষগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে জীবনযুদ্ধে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে জীবনকে পরিচালনা করছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী নারী, পুরুষ, হিজড়াসহ বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তির সংখ্যা ৩০ লাখ। বর্তমানে তাদের মধ্যে ২৩ লাখ ৮৫০ টাকা করে ভাতা পান। তবে নতুন বাজেটে ভাতা বাড়ানো না হলেও উপকারভোগী বাড়িয়ে ২৯ লাখকে ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী নাগরিকের সমাজে অন্যসব নাগরিকের মতো সমান অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার একটি মানবাধিকার, যা সংবিধান স্বীকৃত। তাদের প্রতি সব বৈষম্য দূরীকরণে সিআরপিডির বাস্তবায়ন জরুরি। এ ব্যাপারে সমাজ, রাষ্ট্র ও জনগণের সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণ প্রয়োজন। উন্নয়নের মূলস্রোতে এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা গেলে তারা জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন।