October 11, 2024, 5:03 am
রাজশাহী প্রতিনিধি: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, এবারও নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে জীবজন্তু ছাড়া ভোটার পাওয়া যাবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে যে চিত্র দেখা গিয়েছিল, তারই পুনরাবৃত্তি হবে। পেটুয়া বাহিনীর দমন-পীড়নের কারণে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। যে নির্বাচনে ভোটার থাকে না, সেটি নির্বাচন নয়।
আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে পুলিশের মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতার এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর ও পরিবারের লোকজনের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা ও গ্রেফতারকৃতদের তথ্য তুলে ধরে মিনু জানান, সম্প্রতি ৪৬টি মামলায় এক হাজার ২৭১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে মহানগর এলাকায় ৩৫টি ও জেলায় ১১টি মামলা হয়েছে। গত ২/৩দিনে আরও মামলা এবং গ্রেফতার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা দেড়হাজার।
এসময় মিনু বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এই সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে রাজশাহী জেলা, মহানগর ও সারাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীদের বিনাকারণে গ্রেফতার করে বানোয়াট মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে।
বিশেষ করে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিরসহ ত্রাণ ও খাদ্য বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, রাজশাহী জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম মার্শাল, জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সদস্য মনিরুজ্জামান শরীফ, রাজপাড়া বিএনপির সাবেক সভাপতি শওকত আলী, শাহমুখদুম থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জল,মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রবি এবং রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভসহ রাজশাহী নগরীর সকল থানা ও ওয়ার্ড এবং রাজশাহী জেলার সকল উপজেলা, পৌর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে।
মিজানুর রহমান মিনু পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, রাজশাহী জেলা পুলিশ ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তাদের ভূমিকা রহস্যজনক ও বিচিত্রময় মনে হচ্ছে। তারা জনগণের গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক অধিকারকে যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়নের মাধ্যমে গ্রেফতার মামলা এবং জেল দিয়ে ঠেকাতে চাচ্ছেন দেশের জনগণ তাদের কাছে যেন শত্রু। তাদেরকে পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, পুলিশ বাহিনী রাষ্ট্রের বাহিনী। তারা কোন দলের বাহিনী নয়।
তিনি অবিলম্বে পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায় এডভোকেট এরশাদ আলী ইশা ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার।