October 11, 2024, 6:00 am
যমুনা নিউজ বিডি: রাজধানীর ডেমরার মাতুয়াইল এলাকায় রাতে পার্কিং করা ছিল গ্রিন অনাবিল পরিবহনের একটি বাস। ভোরে বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে বাসের ভেতরের অংশ পুড়ে যায়। ঘটনাটি গত ৫ নভেম্বরের। বাস মালিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মিয়ার দাবি, বাস পুড়ে যাওয়ায় অন্তত ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে তার।
শুধু মনিরুজ্জামানের নয়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ১৭ দিনে রাজধানীসহ সারাদেশে ১৩৭টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বাসের সংখ্যা ৯৪। গড়ে প্রতিদিন পাঁচটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। বাস ছাড়াও অগ্নিসংযোগের মধ্যে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকাপ, লেগুনাসহ বিভিন্ন যানবাহন রয়েছে। সবচেয়ে বেশি অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ঢাকায়। সিলেট বিভাগে কোনো অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে ফায়ার সার্ভিস যে ১৩৭টি যানবাহনে আগুনের কথা বলছে, প্রকৃতপক্ষে এর চেয়ে বেশি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। কারণ, রাজধানীতেই দেখা যায়– গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে, অথচ ফায়ার সার্ভিসকে খবর পাওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন পানি দিয়ে নিভিয়ে ফেলেছেন। যে কারণে সেসব আগুনের ঘটনা ফায়ার সার্ভিসের তালিকায় ওঠেনি।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ সমকালকে বলেন, তাদের বাস পুড়েছে ১০২টি।
ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর থেকে থেকে জানানো হয়েছে, ১৭ দিনে রাজধানীসহ দেশের ২৫টি জেলায় ১৫৪টি আগুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বাস রয়েছে ৯৪, মাইক্রোবাস ৩, প্রাইভেটকার ২, মোটরসাইকেল ৮, ট্রাক ১৩, কাভার্ডভ্যান ৮, অ্যাম্বুলেন্স ১, পিকআপ ২, সিএনজি ২, নছিমন ১, লেগুনা ১, ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি ১ ও পুলিশের একটি গাড়ি। এছাড়া বিএনপির ৫ অফিস, আওয়ামী লীগের ১ অফিস ও পুলিশ বক্সসহ ১৭টি স্থানে আগুন দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, ৩৯ জেলায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেনি। বেশিরভাগ আগুন দেওয়া হয়েছে রাতে। জেলা হিসাবে বেশি অগ্নিসংযোগ দেওয়া হয়েছে গাজীপুর জেলায়। আর সিটি করপোরেশন হিসাবে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় বেশি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৮২টি, ঢাকা বিভাগে ৩৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬টি, রংপুর বিভাগে ৬টি, খুলনা বিভাগে ২টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ১টি অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, এসব অগ্নিকাণ্ডে ৫ জন আহত হয়েছেন ও ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মী মারধরের শিকার হয়েছেন। দিনে ৬১টি ও রাতে ৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।