September 26, 2023, 9:32 pm

পাঁচবিবিতে বৃষ্টির ও মাছের অভাবে মাছ ধরার ষড়ঞ্জামের বাজারে ধস

জয়পুরহাট প্রতিনিধি: পাঁচবিবির মহলীপাড়ার মাছ ধরার ষড়ঞ্জাম তৈরির কারিগররা আর মাছ ধরার ষড়ঞ্জাম তৈরি না করে কিনে বিক্রি করা শুরু করেছে। ষড়ঞ্জাম তৈরিতে খরচ বেশি পড়ায় তারা এখন কিনে বেচা শুরু করেছেন।

চলতি বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবির নদ-নদী, খাল বিল পানি শূন্য। নেই কোন স্রোতধারা। ফলে বাজারে মাছ ধরার জন্য দেশিয় পদ্ধতিতে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার ষড়ঞ্জাম বিক্রয়ে নেই তেমন সাড়া।

উপজেলার দমদমা গ্রামের খলসা ব্যবসায়ী সীতা রাম। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে পাঁচবিবি বাজারে এই ব্যবসা করে আসছেন। তিনি বলেন, আগে বর্ষার শুরুতে আকাশের পানিতে নদ-নদী, খাল বিলে পানি থৈ থৈ করত। আর স্রোতের বিপরীতে দেশিয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ দেখা যেত। বাজারে দেশিয় তৈরী এসব যন্ত্র কেনার ধুম পড়ে যেত। হাট বারের দিন ছাড়াও তারা বাড়ি গিয়ে কিনে নিয়ে আসত।

তিনি আরও বলেন, আগে উপজেলার মহলীপাড়া গুলোতে স্থানীয় ভাবে এসব ফাঁদ ও যন্ত্র তৈরি হলেও বাঁশ, সুতাসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়াই এগুলো আর তৈরি হয় না। এখন নীলফামারী ডোমার থেকে পাইকারী দরে কিনে এনে বিক্রি করে । লাভ সীমিত হলেও দীর্ঘ দিনের পেশা ছাড়তে পারেননি।

উপজেলার বিরনগর গ্রামের অপর ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই ব্যবসা করেন, এবার আবহাওয়া ও মূল্যের কারণে বিক্রি কম। উপজেলার আটুল গ্রামের অপর ব্যবসায়ী বলেন, নীলফামারী থেকে কিনে এনে সে বিভিন্ন হাটে বিক্রি করেন। বর্ষা হলে বেচা কেনা বেশি হবে বলে আশায় করেন।

বিক্রেতারা জানান, মাছ ধরার এসব দেশি যন্ত্রের এলাকা ভেদে বিভিন্ন নাম রয়েছে এবং খুচরা বিক্রিও আলাদা আলাদা। বর্তমানে বাজারে প্রতিটি ভরং ৩৫০ টাকা, খলসা ৪০০টাকা, টেপা ২৫০ টাকা, পলই ১৫০ টাকা, বৃত্তি ১৭০টাকা, ক্যাসেট ৮০টাকা, দিরু ২২০টাকা ও খলনী ১৫০টাকা দরে বিক্রি করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD