April 25, 2024, 6:06 am

নন্দীগ্রামে মধুমাসে হরেক রকম ফলের সমারোহ

ঋতুর পালাবদলে আবারও এসেছে গ্রীষ্মকাল। আর গ্রীষ্মের মধুমাস জ্যৈষ্ঠে বগুড়ার নন্দীগ্রামের হাটবাজার ও মেলায় হরেক রকম ফলের সমারোহ ঘটেছে। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে রসে টস টসে দেশি এসব ফলের পসরা সাজিয়ে বসে আছে দোকানীরা। ক্রেতাদের আকর্ষন করার জন্য দোকানীরা হাত উঁচিয়ে লিচুর ঝোপা নিয়ে ডাকছে ক্রেতাদের।

সরেজমিনে বিভিন্ন হাটবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, কলা, তরমুজ, তাল, পেয়ারা ও জামসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফলের সুগন্ধে ভরে উঠেছে স্থানীয় বাজারগুলো। তবে বাজারে অন্য ফলের তুলনায় এখন বেশি দেখা যাচ্ছে আম ও লিচু। নন্দীগ্রামের মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি চাহিদা আম্রপালি আমের। এখনো এ আম বাজারে আসেনি। তবে অন্যান্য জাতের অনেক আম বাজারে রয়েছে।

লিচু বিক্রেতা হযরত আলী বলেন, বোম্বাই লিচু বিক্রি হচ্ছে দুইশো থেকে তিনশো টাকা শোয়া। আর চায়না থ্রি লিচু চারশো থেকে ছয়শো টাকা শোয়া বিক্রি হচ্ছে। বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে।

রাজশাহীর পুঠিয়া থেকে হাটে আম বিক্রি করতে এসেছেন লিটন আলী। তিনি জানান, আমার কাছে রানী, খিরসা, লোকনা ও গোপাল ভোগ জাতের আম আছে। এসব আম ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। আম্রপালির বাজারে আসতে আরও ১৫-২০ দিন সময় লাগবে। আমের বাজার কম।

ফল ক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, এসময় জামাই-মেয়ের বাড়িতে সাজা দিতে হয়। আম, লিচু ও কলা কিনেছি। আরও কাঁঠাল, আনারস, মিষ্টি, মাছ ও গোস্ত কিনতে হবে। নন্দীগ্রাম (বিজরুল) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল বলেন, মৌসুমী ফল আল্লাহর আর্শিবাদ। পরিমিত পরিমাণে এ ফল সবার খাওয়া দরকার। তবে ডায়াবেটিস রোগীদে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফল খেতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD