September 7, 2024, 2:43 pm
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্তের সরকারি বাসভবন থেকে করোনা কালীন ২০২১ সালের ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহারের’ ২২১ বস্তা খাবার অযোগ্য পঁচা ত্রাণ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ধুনট উপজেলায় ওই ইউএনওর শেষ কর্ম দিবস ছিল। ৭ মার্চ ধুনট উপজেলা থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলায় তাকে বদলি করা হয়। উপজেলা প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীগ নেতা আব্দুল হাই খোকনের নিকট হস্তান্তর নিয়ে এ তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
সরকারের একজন পদস্থ কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের সরকারি ত্রাণসামগ্রী অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ না করে বাসায় রেখে নষ্ট করার ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওইদিন বিকেল ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদের সরকারি বাসভবন থেকে ২২১ বস্তা নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার বা পঁচা ত্রাণসামগ্রী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনের সরকারি বাসভবনে জমা দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনে সংবাদকর্মী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ভীড় জমে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চাল, ডাল, লবণ, তেল, চিড়া, লুডুলস, চিনি, হলুদ, মরিচ ও ধনিয়ার গুঁড়া মসলার সাড়ে ১৫ কেজি ওজনের বস্ত্রার গায়ে লেখা ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ ত্রাণসামগ্রী হিসেবে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ২০২১-২০২২ অর্থ বছর ও ০৭.০৭.২০২১ তারিখ। প্রায় দু’বছর আগের এই ত্রাণসামগ্রী মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার অযোগ্য হয়ে পঁচে যায়।
উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন বলেন, ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্ত শেষ কর্মদিবসে ২২১ বস্তা ত্রাণসামগ্রী শ্রমিক দিয়ে তার সরকারি বাসায় রেখেছেন এবং ২০২২ সালের ২৫ জুলাই তারিখের তৎকালিন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত একটি বরাদ্দপত্র দিয়েছেন। রেখে দেয়া ত্রাণগুলো খাবার অযোগ্য।
ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, ত্রাণসামগ্রী গত তিন মাস আগে বরাদ্দ পেয়েছি। সেগুলোর কিছু বিতরণ করা হয়েছে। আমার বদলিজনিত কারণে ত্রাণগুলো উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে দেয়া হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ইউএনওর বাসা নয় ওটা উপজেলা প্রশাসনের অস্থায়ী গুদাম বলে আমাকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরও) জানিয়েছেন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে কারো কোনো অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।