April 25, 2024, 10:04 am

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থায়নের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন

অর্থনীতিবিদরা বিশ্বব্যাপী ক্ষয়িষ্ণু আর্থিক পরিস্থিতি খুব যত্নের সঙ্গে দেখার পাশাপাশি বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ প্রদান করছেন। বাংলাদেশের বেলায়ও এমন দৃশ্য তৈরি হয়েছে। সুশীল সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী ও অর্থনীতিবিদরা দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল আর্থসামাজিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছেন ও আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে একে অন্যের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া ঘটাতে পারে এবং সরকারের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ কীভাবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ন্যূনতম অভিন্ন সহযোগিতা করতে পারে তার সন্ধান পেতে সহায়ক পরামর্শ দিচ্ছেন। কেউ কেউ পরামর্শ দিচ্ছেন যে অর্থায়ন এমন একটি প্রক্রিয়া, যা খুব সতর্কতার সঙ্গে অনুসরণ করা দরকার। বিশেষ করে এটি যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারের ব্যয়ের ক্ষেত্রে ঋণ নেয়ার সঙ্গে জড়িত থাকে। বিশ্লেষক আনিস চৌধুরী এবং জে. কে. সুন্দারাম এক নিবন্ধে উল্লেখ করেন যে কিছু দেশ এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রাজস্ব ব্যয়ের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নও করেছে।

দৃশ্যত এমন আইনগুলোর ক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদরা মূল্যস্ফীতির লাগাম ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন, তবে প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য এটি ২ শতাংশের কম না হওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। এসব ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্ভাব্য উন্নয়নমূলক ভূমিকা এবং সংকটকালীন অবস্থায় সরকারের সক্ষমতাকেও সীমাবদ্ধ করেছে। কাঙ্ক্ষিত কাঠামোগত রূপান্তরের জন্য উন্নত আর্থিক-রাজস্ব নীতি সমন্বয়ও প্রয়োজন, বিশেষ করে ডিকার্বনাইজিং অর্থনীতিতে। যা হোক, এ ধরনের পরিস্থিতিতে দেশগুলোকে সীমাবদ্ধ আইনের সঙ্গে তাদের নিজ হাত বেঁধে রাখা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্যদিকে মহামারীতে ত্রাণকার্যে অর্থায়ন ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের জন্য অন্য হাতগুলো প্রায়োগিকভাবে স্থগিত অথবা স্ব-আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।

এ রকম পদক্ষেপ জরুরি প্রয়োজনে চক্রাকারে আবর্তনশীলতা ও উন্নয়নভিত্তিক রাজস্ব অর্থায়ন নীতির সমন্বয়ে বিভিন্ন মতের দুয়ার উন্মুক্ত হয়ে যাওয়া প্রত্যাশা করে। সামাজিক কুশলীরা এসব ক্ষেত্রে বিভিন্ন মত অনুসরণ করেন। কারণ কিছু আর্থিক সংস্থা দাবি করে এ প্রক্রিয়া সরকারি বাজেট ঘাটতিতে অর্থায়নের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সহায়তা করে। উদাহরণ হিসেবে অর্থায়নের কথা বলা যায়। অন্যদিকে অন্য কুশলীরা পরামর্শ দেন যে অর্থায়ন সবসময় সরকারি ঋণ, ব্যালান্স অব পেমেন্টে ঘাটতি এবং মূল্যস্ফীতি থেকে ধাবিত হওয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক কাজ করে না। এ প্রসঙ্গে কিছু অর্থনীতিবিদ ডব্লিউ ইস্টারলির দৃষ্টিভঙ্গি স্মরণ করিয়ে দেন, তিনি মন্তব্য করেছিলেন রাজস্ব ঘাটতি বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক রুগ্নতার জন্য দায়ী, যা আশির দশকে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় হয়েছিল। যেমন অত্যধিক ঋণ এবং ঋণ সংকট, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, দুর্বল বিনিয়োগ পরিবেশ এবং প্রবৃদ্ধি। ধারাবাহিকভাবে এটি অর্থায়নকে সন্দেহের সঙ্গে সাক্ষাতের আহ্বান জানিয়েছিল, যদি সরাসরি বিরোধিতা না থাকে। আনিস চৌধুরী এবং জে. কে. সুন্দরম এ দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করেছেন যে অর্থায়ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতাকে অবমূল্যায়ন করতে পারে। এবং রাজস্ব কর্তৃপক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রিত আর্থিক পৃথককরণকে প্রভাবিত করে। এটি মূল্যস্ফীতির ধাবমানতা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে চেষ্টাকেও লাইনচ্যুত করতে পারে। এক্ষেত্রে মৌল বিষয় এবং দৃষ্টান্তের ক্ষেত্রে অনেক অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাংক খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাব্য পরিমাপের বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।

রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সাবেক গভর্নর রেড্ডি উল্লেখ করেছেন যে রাজস্ব অর্থায়ন শিল্প, কৃষি, গৃহায়ন ইত্যাদি উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তহবিল সরবরাহ করা, এছাড়া বিগত দশকগুলোয় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণগুলোও রয়েছে। এক্ষেত্রে এ. চৌধুরী এবং জে. কে. সুন্দরম রেড্ডি মন্তব্য করেছেন যে স্বল্প সন্তোষজনক ফল যেমন ‘সামষ্টিক ভারসাম্যহীনতা’ এবং ‘স্বয়ংক্রিয় নগদীকরণে ঘাটতি’ এ বিষয়গুলো রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ‘রাজস্ব সক্রিয়তা কিন্তু নমনীয় বাজেটে বাধা’ এবং সরকারি বিনিয়োগে ‘বিদ্যমান অপর্যাপ্ত প্রত্যাবর্তন’ এসবের কারণে হয়নি।  এটি শুধু প্রাসঙ্গিক এবং স্মরণীয় যে আর্থিক নীতি একই সময়ে বৃহৎ আকারে ও বিদ্যমান রাজস্ব ঘাটতিতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। দেশ থেকে দেশে এটি ভিন্ন হতে পারে। যাই হোক রেড্ডির জন্য ‘দ্বিধাহীনভাবে রাজস্ব এবং আর্থিক নীতির ক্ষেত্রে মিথস্ক্রিয়া দেশগুলোর বিশেষায়িত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।’ ধারাবাহিকভাবে রেড্ডি আর্থিক-রাজস্ব নীতি সমন্বয়ে বৃহৎ আকারে অভিন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোর বিষয়ে তুলে ধরেছেন। এক্ষেত্রে ভারতের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা থেকে কিছু পাঠ নেয়া যেতে পারে। সেখানে রাজস্ব ঘাটতির সঠিক মাত্রা চিহ্নিত না থাকায় ভারতে এসব সংকটপূর্ণ ক্ষেত্রে গুরুত্বের মাপকাঠিতে ধরে নেয়া হয় কীভাবে এটার অর্থায়ন হয়েছে এবং কোথায় প্রযোজ্য হচ্ছে? এমন দৃশ্যপট পর্যবেক্ষণে বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকে যে সক্ষমতা দেয়া হয়েছে এবং সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কার্যক্ষমতাকে গুরুত্ব দেয়া হয়। রেড্ডি সঠিকভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন, ভারতের মতো দেশে সরকারি ঋণের ব্যবস্থাপনা স্থানীয় অর্থনৈতিক বাজারের উন্নয়নে, আর্থিক নীতি পরিচালনা, বিশেষ করে কার্যকর প্রেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

দারুণ ব্যাপার পিপলস ব্যাংক অব চায়নার সঙ্গে জড়িত জে. জিয়াও চুয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ বহুমুখী দায়িত্বের বিষয়ে জোর দিয়েছেন। এর মধ্যে উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর চলমান রূপান্তরে অর্থনৈতিক খাতের উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তার মতে, স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপের বিষয়ে ‘আর্থিক নীতি নিঃসন্দেহে ব্যালান্স অব ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট এবং পুঁজির প্রবাহের মাধ্যমে প্রবাহিত।’ তাই সামষ্টিক বিবেচনাপূর্ণ এবং আর্থিক প্রবিধানগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য স্পর্শকাতর আদেশ হিসেবে গণ্য হয়। ধারাবাহিকভাবে পিপলস ব্যাংক অব চায়নার উদ্দেশ্যের ক্ষেত্রে চীন সরকারের সুদীর্ঘ আদেশ রয়েছে। এর মধ্যে দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা তত্ত্বাবধান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রচার, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, ব্যালান্স অব পেমেন্টের সমস্যা চিহ্নিতকরণ রয়েছে। এসব বহুমুখী লক্ষ্যের ক্ষেত্রে অন্যান্য সরকারি সংস্থা এবং নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অধিক সমন্বয় এবং যৌথ চেষ্টা প্রয়োজন। জৌ এটাও জোর দিয়েছেন যে বহুমুখী লক্ষ্য এবং আর্থিক নীতির ক্ষেত্রে কার্যকারিতায় সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা যা কৌশলী বিষয় বটে। তিনি এটাও জোর দিয়েছেন যে এমন অস্থির সময়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার সহজীকরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শুধু সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখলেই হবে না, এর সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ নীতির নমনীয়তার ক্ষেত্রে পরিমাপের বিষয়টিও রয়েছে। এক্ষেত্রে কিছু আকর্ষণীয় বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করা প্রয়োজন যে চীন সরকার এবং তাদের পিপলস ব্যাংক অব চায়না কীভাবে মহামারীর সময়ে কাজ চালিয়ে গেছে এবং কীভাবে আর্থিক নীতি কভিড আক্রান্ত খাতে সহায়তার লক্ষ্যে তাদের চেষ্টা চালিয়েছে। কাঠামোগত অনুষঙ্গগুলো আন্তঃব্যাংক তারল্যের পর্যাপ্ততা এবং আমানত প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক থাকার বিষয়ে সহযোগিতা করেছে। এ কার্যকারিতা চীন সরকারের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত লক্ষ্যের সঙ্গে যত্নসহকারে যুক্ত ছিল। এর মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে প্রত্যাশিত বিনিয়োগে সহায়তা এবং সম্পদের মূল্যে অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপের বিষয়টা প্রতিরোধ করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এক্ষেত্রে জৌ-এর মতে সমন্বয় এবং মিথস্ক্রিয়া আর্থিক নীতিকে রাজস্ব এবং শিল্পায়ন নীতিতে কাঙ্ক্ষিত স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি এবং বাজারে আত্মবিশ্বাস প্রচার করায় জড়িত। এর ফল হিসেবে চীনে যৌক্তিকভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। এখানে উল্লেখ করতে হবে ইকোনমিস্টের মতো বিদেশী গণমাধ্যম উল্লেখ করেছিল যে চীনে গত ২০ বছরে ভোক্তা পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি গড়ে ২ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল। আমরা দেখেছি কীভাবে সাম্প্রতিক দিনগুলোয় মূল্যস্ফীতি কোনো রকম দ্বিধা ছাড়াই মূল্যস্ফীতির আদর্শ মানের বিপরীতে বাড়তি সুদহার নির্ধারণ করছে। যাই হোক, এক্ষেত্রে ভুলে যাওয়া হয়েছে যে এ বাড়তি সুদহার সহযোগিতা করতে পারে যদি মূল্যস্ফীতি প্রধানভাবে আমানত চাহিদা সহজতর করায় জ্বালানির ভূমিকা রাখে। অন্যদিকে আমানত আঁটসাঁট হয়ে যাওয়া কার্যকরভাবে মূল্যস্ফীতির সরবরাহ পার্শ্ব নির্ধারণ করে, যা সাধারণত বাধা উত্তরণে লক্ষ্য পরিমাপের বিষয়টি দাবি করে।

বাড়ন্ত সুদহারের প্রতিকূল উপচে পড়া প্রভাবও বিবেচনাযোগ্য। উন্নত অর্থনীতির মুখ্য দেশগুলোয় সুদহার বৃদ্ধি পাওয়া উদীয়মান বাজারকে দুর্বল করে ফেলে এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোয় পুঁজির প্রবাহ, মুদ্রা, রাজস্ব অবস্থান এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিশেষ করে সার্বভৌমত্ব ঋণ গত দুই বছরে বেলুনের মতো ফুলেফেঁপে উঠেছে। উঁচু সুদহারের ক্ষেত্রে পণ্যমূল্য, বিনিয়োগ সংকীর্ণ এবং গৃহস্থালি খরচ বৃদ্ধির প্রবণতা থাকে। এটি ব্যবসাকে আঘাত করে, এক্ষেত্রে শুধু কর্মসংস্থানের সুযোগে অভিঘাত করে না এর সঙ্গে উপার্জন ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে এটি বাধাহীনভাবে সর্পিল প্যাঁচানো বস্তুর মতো নিম্নগামী হয়ে যায়। এটি সরকারের ঋণের বোঝা বৃদ্ধি করে, সরকারকে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের মতো সরকারি সেবায় খরচ কমাতে বল প্রয়োগ করে। এ অনুসারে এটি বোঝা কঠিন যে কীভাবে উত্থিত সুদহার বিনিয়োগ, চাকরি, উপার্জন, সামাজিক সুরক্ষা অথবা কার্ব ফুড বা তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে। একটি সঠিক চিন্তার বিষয় রয়েছে, ভোক্তাদের প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়, এমনকি উঁচু সুদহারের ক্ষেত্রে। উঁচু সুদহার মূল্যস্ফীতিকে তীব্রতর করতে পারে, যেভাবে ব্যবসায় বিনিয়োগের খরচ কর্তন করে। যদিও বিশেষ করে প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে সরবরাহ বাধা মূল্য বৃদ্ধি পেলে সম্ভাব্যভাবে ব্যাপক হতে পারে। আমাদের স্মরণ করা প্রয়োজন একটি উন্নয়নশীল দেশে অধিকাংশ জনগণ ঋণগ্রস্ত থাকে। ফলে দরিদ্র জনগণ খরচের ক্ষেত্রে কৃচ্ছ্রসাধন করে। যদিও দরিদ্র জনগণ বিভিন্নভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। যেমন চাকরি এবং উপার্জন হারানো, সামাজিক সুরক্ষা কম মোকাবেলা এবং উচ্চতর সুদহার গ্রহণ। তাই আমাদের উপলব্ধি করা প্রয়োজন যে উচ্চতর সুদহারের মানসম্মত ওষুধের ব্যাপক সামাজিক মূল্য রয়েছে। এদিকে উচ্চ সুদহারের প্রধান উপকারভোগী, নিট আমানতকারী এবং অর্থনৈতিক সম্পদের স্বত্বাধিকারীগণ নিম্নতম মূল্যস্ফীতিতে ধনী হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে কার্যকর রাজস্ব-আর্থিক নীতি সমন্বয়ের যথাযথ ব্যবস্থাপনা দরকার কার্যকর আর্থিক এবং রাজস্ব নীতি সমন্বয় নিশ্চিত করার জন্য। যথার্থ প্রাতিষ্ঠানিক ও কর্মক্ষম ব্যবস্থাপনা দেশের বিশেষায়িত উন্নয়নের মাত্রা এবং অর্থনৈতিক গভীরতা ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করে। দ্বিধাহীনভাবে একজনের এটাও স্মরণ করা উচিত এ সামগ্রিক চেষ্টায় উন্নত শাসন ব্যবস্থা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা প্রয়োজন। এটি অবিলম্বে এবং দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করতে পারে সরকারের ঋণগ্রহণ এবং ব্যয় বৃদ্ধির কারণে। নাগরিক এবং তাদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের অধিক কার্যকর, উন্নত শৃঙ্খলাবদ্ধ নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে চক্রাকারবিরোধী এবং উন্নয়ন খরচে রাজস্বের জায়গা তৈরি করায় জনসমর্থন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

মোহাম্মদ জমির: সাবেক রাষ্ট্রদূত; বৈদেশিক সম্পর্ক, তথ্য অধিকার ও সুশাসনবিষয়ক বিশ্লেষক।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD