September 8, 2024, 7:17 am
যমুনা নিউজ বিডিঃ পরনে লাল রঙের লেহেঙ্গা। চোখে কাজল। কানে দুল। চুলগুলো দু’কাঁধে আলগা করে ছেড়ে দেওয়া। চোখে-মুখে হাসির ঢেউ— এমন রূপে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন এক যুবতী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়ানো ছবির এই যুবতী কে? সেই প্রশ্নই অনেকের।
ভালো করে খেয়াল করলেই বোঝা যায়, এ নারী অন্য কেউ নন; আশির দশকের দর্শকপ্রিয় চিত্রনায়িকা রোজিনা। ৬৭ বছর বয়সে এমন সাজে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে এসব কোনো নাটক বা সিনেমার জন্য নয়। একটি ফটোশুটের জন্য এমন রূপে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন তিনি।
এই ফটোশুটের কোরিওগ্রাফি করেছেন তানজিল জনি। তিনি বলেন, অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল চিত্রনায়িকা রোজিনা ম্যাডামকে নতুন একটা লুকে নিয়ে আসার। অবশেষে সেই কাজটি করতে পারলাম। এমন গুণী অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করতে পেরে দারুণ লাগছে।
গত বছরের ডিসেম্বর বধূ সেজে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন রোজিনা। শুধু তাই নয়, নিজেকে বধূ রূপে দেখে নিজেই বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। ফের নতুন লুকে দর্শকদের চমকে দিলেন এক সময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা।
রোজিনা চলচ্চিত্রে আসার আগে মঞ্চ নাটক করতেন। তখন তিনি বেশ কিছু বিজ্ঞাপনেও কাজ করেন। ১৯৭৬ সালে ‘জানোয়ার’ চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। এফ কবীর পরিচালিত ‘রাজমহল’ সিনেমায় একক নায়িকা হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। আশি দশকে প্রথম সারির নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
শুধু দেশে নয়, খ্যাতনামা এই অভিনেত্রী পশ্চিমবাংলার তাপস পাল, মিঠুন চক্রবর্তী, পাকিস্তানের জনপ্রিয় নায়ক নাদিমসহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত বহু অভিনেতার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন।
১৯৮০ সালে ‘কসাই’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন রোজিনা। ১৯৮৮ সালে ‘জীবনধারা’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনি বাচসাস পুরস্কারও পেয়েছেন।
‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘সাহেব’, ‘তাসের ঘর’, ‘হাসু আমার হাসু’, ‘হিসাব চাই’, ‘বন্ধু আমার’, ‘কসাই’, ‘জীবনধারা’সহ তার অভিনীত অধিকাংশ সিনেমাই ব্যবসাসফল।