December 8, 2023, 12:52 pm
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এলাকা ভিত্তিক এক ঘন্টা করে বিদ্যুতের লোডশেডিং করার কথা। কিন্ত সরকারি সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছেননা আদমদীঘির সান্তাহার বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিপণন কেন্ত্র নেসকো। সরকারি নির্দেশনার প্রধম দিন গতকাল মঙ্গলবার নেসকো‘র ২য় ফিডারে দিন রাত মিলে সাড়ে ৪ ঘন্টা লোডশেডিং করা হয়েছে। ফলে ওই ফিডারে কলকারখানায় উৎপাদন ব্যহত ও প্রচন্ত গরমে শিশুসহ সাধারণ মানুষদের হাঁসফাঁস পরিস্থিতি সুষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, আদমদীঘির অধিকাংশ গ্রামাঞ্চল এলাকা নিয়ে নেসকোর ২য় ফিডার রয়েছে। সে এলাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত চার বার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করেছে। লোডশেডিংয়ের সুচী বলে কিছু ছিলনা। সান্তাহার বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিপণন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ তাদের ইচ্ছামত বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কাঠি নাড়েন।
বেলা ১২ টায় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়, ফিরে আসে ১টায়। বেলা ২টায় আবারো বিদ্যুৎ চলে যায়, ফিরে আসে সাড়ে ৩টায়। শুধু এখানেই শেষ নয়। সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে বিদ্যুৎ যাবার পর ফিরে রাত ৮টা ২০ মিনিটে। এরপর রাতে মানুষ ঘুমানোর পর রাত ১১ টায় আবারো বিদ্যুৎ চলে যায় ফিরে আসে রাত ১২ টায়। এই এক ঘন্টা শিশু ও সাধারণ মানুষ নিদ্র্র্রাহিন দুর্ভোগে পড়েন। বিদ্যুৎ গ্রাহক মিজানুর রহমান জানান, সান্তাহার পৌর ও আদমদীঘি সদরে এতো লোডশেডিং হয়নি। কিন্তু ২য় ফিডারে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে দিন রাত মিলে চার বার লোডসেডিং করা হয়েছে। যা নেসকোর বিমাতা সুলভ আচরণ। তিনি নেসকোকে বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিপননের দায়িত্ব দেয়ার পর থেকেই বিদ্যুতের বেশি লোডশেডিং এবং বিদ্যুতের ভুতুরে বিলও করা হচ্ছে। সান্তাহার বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিপণন নেসকো বিভাগের নির্বাহি প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, লোডশেডিংয়ের যে তালিকা দেয়া হয়েছে তা পরিবর্তন হবে। অত্র এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৯ মেগাওয়াট। সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ১৩ মেগাওয়াট।