December 8, 2023, 11:52 am
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘিতে প্রবাসির স্ত্রীর শয়ন ঘরে ঢুকে জোরপুর্বক ধর্ষণ চেষ্টা মামলার সহযোগী যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান গ্রেফতার হলেও মুল আসামী সোহাগ হোসেন (৩৫) ১০ দিন যাবত অধরা রয়েছে। সে গাঢাকা দিলেও প্রভাশালি মহলের ছত্রছায়ায় মাঝে মধ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে খুঁজে পাচ্ছেনা। মামলার তদন্তকারি উপ-পরিদর্শক হযরত আলী জানায়, মুল আসামী সোহাগসহ অপরকে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আদমদীঘির পাইকপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসি মাহবুবের স্ত্রীকে একই গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে সোহাগ হোসেন ৫ মাস আগে থেকে মোবাইল ফোনে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সে রাজি না থাকায় ক্ষিপ্ত ছিল সোহাগ। গত ২২ জুন ওই প্রবাসির স্ত্রী রাতে খাবার পর নিজ শোবার ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ১১ টায় প্রবাসির স্ত্রী প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে ঘরের দরজা খুলে রেখে বাহিরে টয়লেটে যান। এ সুযোগে সোহাগ হোসেন কৌশলে তার শোবার ঘরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে। প্রাকৃতিক ডাকের সাড়া শেষে প্রবাসির স্ত্রী তার শোবার ঘরে প্রবেশ করা মাত্র লম্পট সোহাগ হোসেন তাকে ঝাপটে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষন চেষ্টা চালায়। এসময় প্রবাসির চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা ভাসুর ও দেবরসহ অন্যরা এসে সোহাগ হোসেনকে আটক করে। সোহাগকে আটকের খবর পেয়ে রাতেই একই গ্রামের যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান ও তার ভাই নাইম হোসেন প্রসাবির স্ত্রী বাড়িতে ঢুকে ধর্ষন চেষ্টাকারি সোহাগ হোসেনকে ছিনিেিয় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রবাসির স্ত্রী নিজেই বাদি হয়ে সোহাগ হোসেনসহ তার সহযোগী মতিউর রহমান ও নাইম হোসেনকে আসামী করে আদমদীঘি থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ সহযোগী যুবলীগ নেতা মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করলেও মুল আসামী সোহগ ও নাইমকে গ্রেফতার করতে পারেনি।