আবুল বাশার মিরাজ: শীতে অনেক কষ্টে আছিলাম। ঠাণ্ডায় পিনধনের লাগি মোর কোনো কাপড় নেই। নতুন কম্বলখানা ঠান্ডা মেটাইবো। যে ব্যাটা কম্বল টা দিল তার আল্লাহ অনেক ভালো করুক। আমারও অনেক আনন্দ লাগিছে’। এখন আর কষ্ট করতে হবে না। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহে রেলওয়ে স্টেশনে শীতে কষ্ট পাওয়া জমিলা খাতুনসহ শুয়ে থাকা মানুষজন। বুধবার রাতে এসব ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সদস্য রাশেদ খান মিলন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি এমন আয়োজন করেন। কম্বল ছাড়াও, অসহায়দের মাঝে খাবার ও গাছের চারাও বিতরণ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ আল হাসান বলেন, ‘মিলন ভাইয়ের মানবিক এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। ভাই এর সাথে এ কাজে অংশ হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি, এজন্য আমারও ভালো লেগেছে। ভবিষ্যতেও ভাই এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখুক সে প্রত্যাশা রাখছি।’
এমন আয়োজনটি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাশেদ খান মিলন বলেন, ‘আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার ৭৩ বছর শেষ করে ৭৪ বছরে পদার্পণ করলো। গৌরবের ৭৩ বছররকে স্মৃতি করে রাখতে ও ছাত্রলীগের ভালো কাজগুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৃহীত কর্মসূচী অনুযায়ী ছিন্নমুল অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল, খাবার ও করোনা মোকাবেলায় মাস্ক বিতরণ করেছি। এছাড়াও পরিবেশ রক্ষায় ৭৩ টি গাছের চারাও বিতরণ করেছি। ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য সারাজীবন কাজ করে যেতে চাই। আমার ক্ষুদ্র প্রয়াসে ছিন্নমুল অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে আমারও অনেক ভালো লাগছে।