যমুনা নিউজ বিডিঃ বেলায়েত হোসেন (২৮) নামের এক মানসিক ভারসাম্য রোগি ১২০ ফিট উচু বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠে গলায় ফাঁস দেয়ার চেষ্টাসহ নানা প্রলাপ করে আত্মহত্যা চেষ্টা করার প্রায় দুই ঘন্টা পর বেলা ১০টায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট অভিনব কৌশলে আযানের ধ্বনি শুনিয়ে জীবিত নামাতে সক্ষম হলেন তাকে।
শনিবার সকাল ৮টায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার পুশিন্দা হিন্দুপাড়ার পাশে বৈদ্যুতিক টাওয়ারে এ ঘটনা ঘটে। এলাকার শতশত নারী পুরুষ ঘটনাটি দেখার জন্য ভীড় জমান। উক্ত বেলায়েত হোসেন জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার পুন্ডুরিয়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে। সে দুই সন্তানের জনক। বেলায়েত হোসেনের মা রাইকালি ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যা বলে জানাগেছে। বেলায়েত হোসেনের মা বিলকিছ বেগম জানান, তার ছেলে বেলায়েত হোসেন এক বছর আগে মালোশিয়া দেশ থেকে বাড়ি আসে। সে প্রায় দুই মাস যাবত মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তাকে সর্বক্ষনিক বাড়িতেই নজরে রাখা হয়।
গতকাল ৫ আগষ্ট শনিবার সকালে আকষ্মিক ভাবে নিখোঁজ হয়। এরপর মোটরসাইকেল যোগে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ফোনে জানতে পারি তার ছেলে বেলায়েত হোসেন আদমদীঘির নসরতপুর ইউপির পুশিন্দা হিন্দুপাড়ার পাশে বৈদ্যুতিক বড় টাওয়ারের উপড় রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, সকাল ৮টার দিকে ওই যুবক টাওয়ারের মাথায় উঠে তার গায়ের সার্ট খুলে গলায় ফাঁস দেয়ার চেষ্টাসহ শব্দ করে নানা অঙ্গভঙ্গি করে প্রলাপ করতে থাকে। বেলা ৯টার দিকে দুপচাঁচিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রফিক আহম্মেদ নেতৃত্বে একটি টিম ও পরে নওগাঁ থেকে আরও একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবকটিকে নামাতে নানা ভাবে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অবশেষে অভিনব কৌশল অবলম্বন করে হ্যান্ড মাইকিং-এ সোয়াইব হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে আযানের ধ্বনি দিতে থাকেন।
পরপর ৭বার আযানের ধবনি শুনে টাওয়ারের উপড় থাকা বেলায়েত নামের যুবকটি নামতে শুরু করে। ফলে দুই ঘন্টার স্বাশরুদ্ধকর ঘটনার বেলা ১০টায় সমাপ্তি ঘটে। এই টাওয়াটি ২লাখ ৬৬ হাজার ভোল্টের প্রায় ১২০ ফিট উচ্চতা সম্পন্ন একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ার, এতে সার্বক্ষনিক বিদ্যুত সরবরাহ থাকে বলে সান্তাহার বিদ্র্যুত বিতরণ কেন্দ্র কতৃপক্ষ জানান। দুপচাঁচিয়া ফায়াস সার্ভিসের কর্মকর্তা রফিক আহম্মেদ জানান, সম্ভবত: বেলায়েত মানসিক রোগি বিদ্যুত চালু থাকা অবস্থায় কৌশল অবলম্বন করে যুবকটিকে নামিয়ে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।