যমুনা নিউজ বিডিঃ আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে পৌরসভা নির্বাচন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইদিনে দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় ভোট করার চিন্তা করছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। এক্ষেত্রে ভোট নিয়ে দুই ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি সচিবালয়। প্রথমত, নভেম্বরের মাঝামাঝিতে তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ভোট করা; দ্বিতীয়ত, ডিসেম্বরে তফসিল দিয়ে জানুয়ারিতে ভোট করার চিন্তা করা হচ্ছে।
তবে তফসিল থেকে ভোট অনুষ্ঠান পর্যন্ত ৩৫/৪৫ দিন হাতে রাখবে ইসি। এ জন্য পরিষদের প্রথম সভার তারিখ, শপথ গ্রহণের তারিখ, পৌরসভার মেয়াদ শেষের তারিখ ও সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা এবং মামলা সংক্রান্ত তথ্য জানতে দুই-একদিনের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দিচ্ছে কমিশন। এ সংক্রান্ত ফাইল কমিশন অনুমোদন করলেই স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর এ চিঠি পাঠাবে ইসি সচিবালয়। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পৌরসভা আইন অনুযায়ী পৌরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝির মধ্যে প্রায় আড়াই শতাধিক পৌরসভার মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। সেই হিসেবে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব পৌরসভায় ভোট করতে হবে। এ জন্য আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে একই দিনে প্রায় আড়াই শতাধিক পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রাথমিক প্রস্তুতি চলছে। সম্প্রতি কমিশনের বৈঠকে পৌরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে।
স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, নভেম্বর থেকে যেসব নির্বাচনের টাইম হবে তা করা হবে। তিনি বলেন, অক্টোবর থেকে স্থগিত নির্বাচন শুরু হবে। আর নভেম্বর-ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে যখন যে নির্বাচন আসবে তা যথাসময়ে করা হবে। এদিকে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পৌরসভাগুলোর বর্তমান পরিষদের মেয়াদ, নির্বাচন আয়োজনে জটিলতা আছে কিনা তাসহ সার্বিক তথ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি সচিবালয় দু-একদিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে। জানা গেছে, নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন তাদের মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে পৌরসভাগুলোর মেয়াদসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করছে। সূত্র জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে প্রায় ৩২৪টি পৌরসভা রয়েছে। এদের মধ্যে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর একযোগে ২৩৪টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছরের ২৪ নভেম্বর এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি। ওই সময় তফসিল থেকে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত ৩৬ দিন সময় দিয়েছিল কমিশন এ ছাড়া অন্য পৌরসভাগুলোর ভোট মেয়াদ অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর যে পৌরসভাগুলোর ভোট হয়েছিল তার বেশির ভাগের মেয়র ও কাউন্সিলররা পরের বছর (২০১৬ সাল) জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি শপথ নেন। আর ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ হিসাবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসব পৌরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। পৌরসভা আইন অনুযায়ী, পৌরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ হিসাব অনুযায়ী যেসব পৌরসভার মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে সেগুলোতে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোট করতে হবে। জানা গেছে, কমিশন সভায় ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে ভোট গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ডিসেম্বরেই শেষ সপ্তাহে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত এই পৌরসভা নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরু হয়। জানা গেছে, ২০১৫ সালের মতো সব পৌরসভায় ভোট একদিনে অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভাগুলো সদর এলাকা হওয়ায় ইভিএম ব্যবহার বাড়ানো হবে। কমিশন সভায় সেই প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি বাড়লে ইভিএমের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে করোনা সংকট পরিস্থিতি ও স্কুল খোলা এবং বার্ষিক পরীক্ষার তারিখ বিবেচনা করে পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হবে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এবারও ২৩৪ পৌরসভায় একদিনে ভোটের চিন্তা ইসির : নির্বাচন কমিশন দেশের ২৩৪টি একইদিনে পৌরসভার ভোটের চিন্তা করছে। তবে এই সংখ্যা কম বা বেশি হতে পারে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তালিকার ওপরেও নির্ভর করছে কোন পৌরসভায় নির্বাচন হবে। আর কোন পৌরসভায় নির্বাচন হবে না। নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রাথমিক তালিকা যেসব পৌরসভার নাম রয়েছে- ঢাকা বিভাগের-টাঙ্গাইল সদর, ধনবাড়ী, মধুপুর, মির্জাপুর, ভূঞাপুর, সখিপুর, গোপালপুর, কালিহাতী, জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, মেলান্দহ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, শেরপুর সদর, নকলা,